পারিবারিক ও সামাজিক বাস্তবতা, স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্নের বর্ণনায় সত্তর ও আশি দশকের মফস্সল শহরে একটি শিক্ষিত পরিবারের টিকে থাকার জন্য বিধ্বংসী লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বর্ণনা রিপন বাসারের ‘তপুর রাজ্য’ উপন্যাসের মূল উপজীব্য। কিশোর তপুকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে কাহিনি।
‘তপুর রাজ্য’ উপন্যাসটি নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে গাজীপুর বন্ধুসভা। ৭ ডিসেম্বর সকালে প্রথম আলো গাজীপুর অফিসের বন্ধুসভা কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়। উপন্যাসে লেখক নতুন প্রজন্মকে সৎ, সাহসী ও নৈতিক মূল্যবোধে গড়ে ওঠার বার্তা দেন। বইটি একই সঙ্গে বিনোদনমূলক ও মূল্যবোধভিত্তিক, যা শিশু ও কিশোরদের জন্য সহজপাঠ্য ও অনুপ্রেরণামূলক।
সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন বলেন, ‘লেখক এমন এক রাজ্যের ছবি এঁকেছেন, যা শিশুর মনে রূপকথার আবহ সৃষ্টি করে। অদ্ভুত চরিত্র, জাদু, অচেনা পরিবেশ—সব কিছু মিলিয়ে গল্পটি রোমাঞ্চ ও কল্পনার সমন্বয়।’
বন্ধু তানিয়া আক্তার বলেন, ‘এটি একটি গভীর ও বাস্তবধর্মী লেখা, যা পাঠকের মনে দাগ কাটে। বইটি সেই সময়ের মানুষের জীবনযাত্রা, মানসিকতা এবং পারিবারিক টানাপোড়েনকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।’
সভাপতি বাবুল ইসলাম বলেন, ‘তপুর রাজ্য’ একটি ক্লাসিক বাংলা উপন্যাস, যা পাঠককে একটি নির্দিষ্ট সময়ের সামাজিক ও পারিবারিক জীবনের গভীরে নিয়ে যায়।
পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রচার সম্পাদক সামিউল ইসলাম, জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক আবিদা সুলতানা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মারফুয়া সিয়াম, বন্ধু আফরা আঞ্জুম, ইয়াকীনূর নিহাল প্রমুখ।
সাধারণ সম্পাদক, গাজীপুর বন্ধুসভা