প্রেম, ভ্রমণ ও অন্তর্লোকের টানাপোড়েনের উপন্যাস ‘বাবলি’

সিলেট বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসরছবি: সমরজিৎ হালদার

বুদ্ধদেব গুহ রচিত ‘বাবলি’ উপন্যাস প্রেম ও ভ্রমণকাহিনির। মূল চরিত্রে অভি ও বাবলি। সাধারণত গল্পের নায়িকা যেমন হয় সুন্দরী, স্মার্ট—বাবলি তার চেয়ে আরেকটু ভিন্ন, সুন্দর মাঝারি রকমের একটা মেয়ে, মোটাসোটা, বুদ্ধিতে তীক্ষ্ণ, আত্মসম্মানে ভরপুর আর অনেকটা চঞ্চল। অন্যদিকে অভি লন্ডন থেকে ডিগ্রি লাভ করা অন্তর্মুখী স্বভাবের ছেলে।

পাইলটদের ধর্মঘটের কারণে ইম্ফল থেকে ডিমাপুর পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পড়ে অভির ওপর। পথে গাড়ি বিগড়ে গেলে তারা বাধ্য হয় জঙ্গলের নিস্তব্ধতার মধ্যে একটি কুঁড়েঘরে রাত কাটাতে। প্রকৃতির শব্দ, অন্ধকার, বৃষ্টি—সবকিছুর আবহে তারা অপরিচিত এক অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হয়, যদিও তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা কেউই খুঁজে পায় না।

পরবর্তী সময় ডিমাপুরে বাবলি জানতে পারে অভি তার বন্ধু ঝুমার পরিচিত এবং ঝুমা অভির প্রতি আকৃষ্ট। এদিকে দিল্লিতে অভির সঙ্গে পুনর্মিলনে বাবলি নিজেও বুঝতে পারে, তাকে ভুলে থাকা আর সম্ভব নয়। দুর্গাপূজায় অভির আমন্ত্রণে ইম্ফলে পৌঁছে বাবলি আচমকাই দেখে, ঝুমা ও অভি একসঙ্গে তাকে নিতে এসেছে। দৃশ্যটি বাবলির মনে সূক্ষ্ম সন্দেহের জন্ম দেয়। অভি ভুল–বোঝাবুঝি মেটানোর চেষ্টা করলেও বাবলির অন্তর্দ্বন্দ্ব পুরোপুরি কাটে না। ঝুমাও বিচক্ষণতার সঙ্গে নিজেকে সরিয়ে নেয়। উপন্যাসের শেষে প্রশ্ন থেকেই যায়, দিন শেষে অভির জীবনে কাকে জায়গা দেবে! বাবলি নাকি ঝুমা?

১৪ নভেম্বর বিকেলে বুদ্ধদেব গুহর উপন্যাস ‘বাবলি’ নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে সিলেট বন্ধুসভা। প্রথম আলো সিলেট অফিসের বন্ধুসভা কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

বন্ধু ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘বাবলি’ একটি আবেগঘন, পরিপক্ব ও মননশীল উপন্যাস, যা পাঠককে সম্পর্কের গভীরতা ও মানুষের অন্তর্লোকের জটিলতা সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে শেখায়।

এ ছাড়া উপন্যাসটি পাঠ করেন বন্ধু প্রত্যাশা তালুকদার। পাঠের আসরে উপস্থিত ছিলেন বন্ধু দেব রায় সৌমেন, শ্রেয়ান ঘোষ, সূবর্ণা দেব, অনুপমা দাস, সমরজিৎ হালদার, পিয়াস সরকার, মাহবুব হোসাইন, আদনানসহ অন্য বন্ধুরা।

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, সিলেট বন্ধুসভা