দরিদ্র দিনমজুরের পাশে সিরাজগঞ্জ বন্ধুসভা

দরিদ্র দিনমজুর শাহ আলমকে এক জোড়া ক্রাচ কিনে দিয়েছেন বন্ধুসভার বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার অসহায় দিনমজুর শাহ আলম (৪৮) এক বছর আগে গাছ কাটতে গিয়ে ডাল ভেঙে পড়ে গুরুতর আহত হন। অর্থাভাবে সঠিক চিকিৎসা না করাতে পেরে এখন তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। ডান পা ভেঙে অচল হয়ে গেছে। ক্রাচে ভর দিয়ে চলাচল করতে হয়। দিনমজুরের কাজ আর করতে পারেন না।

সম্প্রতি তাঁর ব্যবহৃত ক্রাচের একটি অংশ ভেঙে গেছে। অর্থাভাবে সেটি কেনা তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। এ খবর পেয়ে ২১ অক্টোবর দুপুরে শাহ আলমকে দেখতে কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল দক্ষিণ পাড়া গ্রামে তাঁর বাড়িতে যান সিরাজগঞ্জ বন্ধুসভার বন্ধুরা। শাহ আলমকে বন্ধুসভার পক্ষ থেকে এক জোড়া নতুন ক্রাচ কিনে দেওয়া হয়।

দিনমজুর শাহ আলমের নিজস্ব কোনো বসতবাড়ি নেই। জামতৈল দক্ষিণ পাড়া গ্রামের এক পাশে অন্যের জায়গায় একটি বসতঘর তুলে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, এক বছর আগে বাড়ির পাশে একটি ইউক্যালিপ্টাসগাছের ডালপালা কাটতে গিয়ে হঠাৎ ডাল ভেঙে মাটিতে পড়ে অচেতন হয়ে যান শাহ আলম। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। মাথায় পানি ঢাললে একটু পরই জ্ঞান ফিরে আসে। এর পর থেকে ডান পায়ের ওপরে কোমরের সংযোগস্থলে চরম ব্যথা হয়। একপর্যায়ে পাশের গ্রামের কবিরাজের কাছে নিয়ে গেলে তিনি সেখানে গাছগাছালির প্রলেপ দিয়ে দেন। এভাবে বেশ কিছুদিন চলার পর ব্যথা কিছুটা কমে। তবে এখনো স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারেন না তিনি।

শাহ আলমের স্ত্রী সেলিনা বেগম জানান, তাঁর স্বামী অত্যন্ত দরিদ্র একজন দিনমজুর। গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষের বাড়িতে গাছপালা কাটার কাজ করতেন। যা আয় হতো তা দিয়ে চার সদস্যের সংসার চলত। কিন্তু আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন ব্যয়ভার বহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

শাহ আলমকে দেখতে গিয়ে সিরাজগঞ্জ বন্ধুসভার উপদেষ্টা ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘শাহ আলমের কষ্টের কথা শুনে আমাদের সাধ্যমতো পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছি।’ এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আরিফুল গণি, ফিরোজ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আহমেদ ও বন্ধু সহিদুল ইসলাম।

সাংগঠনিক সম্পাদক, সিরাজগঞ্জ বন্ধুসভা