শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের জীবনী নিয়ে পাঠচক্র

নোয়াখালী বন্ধুসভার পাঠচক্রছবি: সংগৃহীত

১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন আবুল কাশেম ফজলুল হক। যাঁকে সবাই শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক নামে চেনেন। তিনি ছিলেন আইনজীবী, লেখক, কৃষক প্রজা পার্টির নেতা, সাধারণ জনগণের বন্ধু এবং অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী।

তাঁর ১৫১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পাঠচক্র করেছে নোয়াখালী বন্ধুসভা। নির্ধারিত বিষয় ছিল ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল প্রথম আলোর অন্য আলোতে প্রকাশিত বিডি হাবিবুল্লার লেখা ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক রাজনীতিতে যুক্ত হলেন কীভাবে?’ শিরোনামের কলাম। এ ছাড়া বন্ধুরা মহান এই ব্যক্তির জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রচার সম্পাদক সানি তামজিদ বলেন, ‘এ কে ফজলুল হক একজন দেশপ্রেমিক, খাঁটি বাঙালি ও মুসলমান ছিলেন। ব্যক্তি হিসেবে ছিলেন খুবই উদার ও কোমল মনের অধিকারী।’

বন্ধু রাজীব হোসেন বলেন, ‘এ কে ফজলুল হক ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র। রাজনৈতিক ইতিহাসেও তিনি মেধাবী, ব্যক্তিত্ববান বাস্তব দৃষ্টিসম্পন্ন জাতীয়তাবাদী নেতা ছিলেন।’

বন্ধু আনিশা বলেন, ‘১৯৩৬ সালে নতুন সংগঠিত রাজনৈতিক দলের নামকরণ করা হয় কৃষক প্রজা পার্টি। ১৯৩৭ সালে প্রাদেশিক নির্বাচনে ফজলুল হকের নেতৃত্বে বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ এবং সাধারণ মানুষের জন্য ডাল-ভাত কর্মসূচি নিয়ে তিনি সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন।’

সাধারণ সম্পাদক উম্মে ফারহিন বলেন, ‘এ কে ফজলুল হক সাধারণ মানুষের নেতা, কৃষক-শ্রমিকের নেতা এবং তাঁকে বাংলার বাঘ বলা হয়। এই মহান নেতা মৃত্যুবরণ করেন ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল।’

পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন সহসাংগঠনিক সম্পাদক তাজকির হোসেন, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক আফরিনা আনিকা, দপ্তর সম্পাদক ধ্রুব ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক মো. শিমুল, ম্যাগাজিন সম্পাদক নাফিস আহমেদ, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহিদা ইসলামসহ অন্য বন্ধুরা।

পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা