তৎকালীন সমাজ বাস্তবতার চিত্র ‘পথের পাঁচালী’

সিলেট বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসরছবি: বন্ধুসভা

‘পথের পাঁচালী’ প্রখ্যাত সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি উপন্যাস। উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৯ সালে, বাংলা ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ। দুই ভাইবোন অপু আর দুর্গার গ্রামে বেড়ে ওঠা নিয়ে উপন্যাসের কাহিনি রচিত হয়েছে। বইটির ছোটদের সংস্করণের নাম ‘আম আঁটির ভেঁপু’। পরবর্তী সময়ে বিখ্যাত বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় এই উপন্যাস অবলম্বনে ‘পথের পাঁচালী’ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।

পুরো উপন্যাসটি ৩টি খণ্ড ও ৩৫টি পরিচ্ছেদে বিভক্ত। খণ্ড তিনটি যথাক্রমে বল্লালী বালাই (পরিচ্ছেদ ১-৬; ইন্দির ঠাকরুনের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে), ‘আম আঁটির ভেঁপু’ (পরিচ্ছেদ ৭-২৯; অপু-দুর্গার একসঙ্গে বেড়ে ওঠা, চঞ্চল শৈশব, দুর্গার মৃত্যু, অপুর সপরিবারে কাশীযাত্রা চিত্রিত হয়েছে) এবং অক্রূর সংবাদ (পরিচ্ছেদ ৩০-৩৫; অপুদের কাশীজীবন, হরিহরের মৃত্যু, সর্বজয়ার কাজের জন্য কাশীত্যাগ এবং পরিশেষে নিশ্চিন্দিপুরে ফিরে আসার কাহিনি বর্ণিত হয়েছে)।

‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাসটি পড়ে মানুষের জীবন, পরিবার, পরিবারের প্রতি ভালোবাসা, পারিবারিক জীবনের দুঃখ-দৈন্য সহজে বোঝা যায়। উপন্যাসটিতে আমাদের সমাজ বাস্তবতার চিত্র শিক্ষণীয়। ২২ মার্চ প্রথম আলোর সিলেট অফিসের বন্ধুসভা কক্ষে ‘পথের পাঁচালী’ নিয়ে পাঠচক্রের আসর অনুষ্ঠিত হয়।

পাঠচক্রে বইটির প্রকাশকাল, মূল বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেন বন্ধু ফয়সাল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী সেরা বইগুলোর মধ্যে “পথের পাঁচালী” নিজের স্থান করে নিয়েছে স্বমহিমায়। বইটি পড়ে সব পাঠকই আমার মতো তৃপ্ত হয়েছেন, যা লেখকের অন্যতম সফলতা।’ বন্ধু এশিতা রানী নাথ বলেন, এ উপন্যাস আদি ও বর্তমান সামাজিক উত্থান-পতন ও সামাজিক কুসংস্কারের প্রতিচ্ছবি।

এ ছাড়া পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন অন্তর শ্যাম, সমীর বৈষ্ণব, দৃষ্টি বর্মন, দেব রায় সৌমেন, রেজাউল হক, আব্দুল মোহাইমিন, সাজন, হিয়া, মাজেদুল ইসলাম, ঈশিতা আক্তার, অনুপমা, প্রিয়ন্তি, ফারিহা ফিমা, সুবর্ণা দেবসহ অন্য বন্ধুরা।

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, সিলেট বন্ধুসভা