পদ্মার তীরবর্তী অঞ্চলের মাঝি এবং জেলেদের জীবনালেখ্য ‘পদ্মা নদীর মাঝি’

শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বশেমুরবিপ্রবি বন্ধুসভার পাঠচক্র
ছবি: বন্ধুসভা

সম্মিলিতভাবে জ্ঞানচর্চার নাম পাঠচক্র। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা নিয়মিত আয়োজনের অংশ হিসেবে ২৪ ফেব্রুয়ারি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাস নিয়ে পাঠচক্র করেছে।

শুরুতেই পাঠাগার ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক সাদ আহমেদ তুলে ধরেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনী ও তাঁর লেখার ধরন। ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ লেখকের জনপ্রিয় একটি রচনা। উপন্যাসের পটভূমি বাংলাদেশের বিক্রমপুর-ফরিদপুর অঞ্চলের পদ্মার তীরবর্তী কেতুপুর ও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর মাঝি এবং জেলেদের জীবনালেখ্য।

কেন্দ্রীয় চরিত্র কুবের মাঝি। সে পদ্মা নদীতে নৌকা চালায় এবং মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। তার স্ত্রী মালা জন্মগতভাবে পঙ্গু। সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষ হলেও কুবেরের মধ্যে ভালোবাসা রয়েছে। সে তার শ্যালিকা কপিলার প্রতি প্রেমের টান অনুভব করে। তাকে নিয়ে আলাদা সংসার করার স্বপ্ন দেখে।

কপিলা এই উপন্যাসের নায়িকা। সম্পর্কে সে মালার বোন, কুবের মাঝির শ্যালিকা এবং আরেকজনের স্ত্রী। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে তার মনের মিল না হওয়ায় সংসার ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে আসে। বন্যার সময় মালার বাড়িতে বেড়াতে আসে। উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ এবং সবচেয়ে রহস্যময় চরিত্র হোসেন মিয়া। সে প্রকৃতপক্ষে কী কাজ করে, তা সম্পর্কে আজ পর্যন্ত কেউ জানতে পারেনি। মানুষ শুধু দেখেছে সহায়-সম্বলহীন হোসেন মিয়া আশ্চর্যজনকভাবে রাতারাতি অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন।
কুবের, কপিলা, মালা ও হোসেন মিয়া ছাড়াও রাসু, ধনঞ্জয়, পীতম মাঝি, গণেষ, আমিনুদ্দি, রসুল ও ফাতেমাসহ আরও অনেক চরিত্র রয়েছে গল্পে। এসব চরিত্রাবলির সমন্বয়ে উপন্যাসটিতে একটি সার্থক সমাজচিত্র অঙ্কনের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন ঔপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।

পাঠচক্র শেষে সভাপতি মাহমুদুল হাসান সংগঠনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকপাত এবং পরবর্তী মাসের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেন। চা চক্রের মধ্য দিয়ে আলোচনা শেষ হয়।

পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অনিক কুমার, আলাউল হক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক তামান্না আক্তার, প্রচার সম্পাদক সালমান সারওয়ার, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক সাদ আহমেদ, জেন্ডার সমতাবিষয়ক সম্পাদক জেরিন আক্তার, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক ইমন হোসেন, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক রাব্বুল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ওয়াকিল আহমেদ, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক সিনথিয়া সুমিসহ অন্য বন্ধুরা।

কার্যকরী সদস্য, বশেমুরবিপ্রবি বন্ধুসভা