জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্য ও সংগীতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও বহুমুখী প্রতিভা। তাঁকে ‘বিদ্রোহী কবি’ নামে ডাকা হয় তাঁর সাহসী, অত্যাচারবিরোধী ও প্রতিবাদী লেখার জন্য। তিনি ছিলেন কবি, সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও সাংবাদিক। এককথায় অসাধারণ এক সৃজনশীল শক্তি।
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যের অন্তর্ভুক্ত ‘বিদ্রোহী’ এবং ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা নিয়ে পাঠচক্র করেছে শাবিপ্রবি বন্ধুসভা। ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি সেন্টার ভবনের দ্বিতীয় তলায় এটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতি শাফিনুর ইসলামের সঞ্চালনায় ‘বিদ্রোহী’ কবিতা নিয়ে আলোচনা করেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক ইয়ারমিন আক্তার। তিনি বলেন, ‘নজরুলের “বিদ্রোহী” কবিতার মূলভাব হলো অন্যায়, শোষণ ও শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা এবং সাম্য, স্বাধীনতা ও নতুন বিশ্ব গড়ার আকাঙ্ক্ষা। কবি নিজেকে বিভিন্ন শক্তিশালী সত্তারূপে উপস্থাপন করে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এবং নিপীড়িতদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। কবিতাটি কেবল বিদ্রোহের কথা বলে না, বরং বিপ্লবের আবেগ, স্বরাজ প্রতিষ্ঠা, প্রেম ও প্রকৃতির বন্দনাও এতে বিদ্যমান।’
‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা নিয়ে শাফিনুর ইসলাম বলেন, ‘এই কবিতায় বোঝানো হয়েছে পুরোনোকে ধ্বংস করে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার কথা। কবি এখানে “প্রলয়” বলতে শুধু ধ্বংস নয়, বরং ধ্বংসের পর যে নতুন সৃষ্টির উল্লাস আসে, তাকে বুঝিয়েছেন। এটি মূলত একটি বিদ্রোহের কবিতা, যেখানে পুরোনো ও অন্যায়কে ভেঙে নতুন সমাজ, স্বপ্ন ও নতুন আশার জাগরণকে স্বাগত জানানো হয়েছে।’
পাঠচক্রের আসরে উপস্থিত ছিলেন বন্ধু শাফিনুর ইসলাম, নুর হাসনাত, শাকিল আহমেদ, ইয়ারমিন আক্তার, মৃদুল রাজবংশী, রিচি আক্তার, আফিয়া জাহিন, জনি জান্নাত, তৌহিদুল ইসলাম, দুর্জয়সহ অন্য বন্ধুরা।
বন্ধু, শাবিপ্রবি বন্ধুসভা