বাংলা অভিধানে ‘সাতকাহন’ একটি বাগ্ধারা। এর অর্থ প্রচুর পরিমাণ। কিন্তু আমরা সাতকাহন বলতে সমরেশ মজুমদারের উপন্যাসকে বুঝি। এটি সমরেশ মজুমদারের লেখা সেরা উপন্যাসগুলোর মধ্যে একটি। ২১ মে বইটি নিয়ে পাঠচক্র করেছে গাজীপুর বন্ধুসভা।
‘সাতকাহন’ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র ‘দীপাবলি’। তাকে যতই চেনা যায়, অবাক হতে হয়; কখনো–বা তাকে মনে হয় অতি চেনা এক নারী। যাকে অনেক কাছ থেকে চিনি। বিংশ শতাব্দীর নারীদের চিন্তা যে কতটা আধুনিক ছিল, তা এই উপন্যাস না পড়লে বোঝা যাবে না। তা ছাড়া দীপাবলি, রমলা সেন আর মায়ার আধুনিকতা দেখে হয়তো বর্তমানের অনেকের চিন্তা-চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে হয়।
বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার ৮ মে মারা গেছেন। এটি শুধু তাঁর একটি উপন্যাস নয়, একটি নারীর জাগরণের গল্প। তাঁর স্মরণেই এ পাঠচক্র আয়োজন করে গাজীপুর বন্ধুসভা। জীবন থেকে নাটক তৈরি হয়। কিন্তু অনেক সময় জীবন নাটককে ছাপিয়ে যায়। এমনি এক সৃষ্টি সাতকাহন।
পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর বন্ধুসভার উপদেষ্টা মণ্ডল মাধব চন্দ্র, মাসুদ রানা এবং অন্যান্য বন্ধুরা। এ সময় বইটি নিয়ে আলোচনা করেন সাবেক সভাপতি ইমরান আকন্দ ও উপদেষ্টা মণ্ডল মাধব চন্দ্র।
সভাপতি, গাজীপুর বন্ধুসভা