বৃক্ষরোপণের পর নিয়মিত পরিচর্যাও করছেন বন্ধুরা

ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভার উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণছবি: বন্ধুসভা

কয়েকটি ধাপে বিভিন্ন প্রজাতির ১ হাজার ৬৪০টি গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ করার মধ্য দিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সম্পন্ন করেছে ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভা। ‘আমার মাটি আমার দায়, গাছ রোপণে বাঁচা যায়’ প্রতিপাদ্যে এবারের কার্যক্রম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের উৎসর্গ করা হয়েছে।

গত ১০ আগস্ট প্রথম ধাপে ঠাকুরগাঁও জিলা স্কুল বড়মাঠের উত্তর পাশে ২১০টি ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করেন বন্ধুরা। গাছ রোপণের পাশাপাশি গাছের খুঁটি, পরিচর্যা নিশ্চিত করে এবং পুরো জায়গা বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ
ছবি: বন্ধুসভা

দ্বিতীয় ধাপে ব্র্যাক মাইক্রোফিন্যান্সের সহযোগিতায় ৭০০ গাছের চারা জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভার নিজস্ব উদ্যোগে আরও ৭৩০টি চারা গাছ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতরণ ও রোপণ করেন বন্ধুরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো রুহিয়া ডিগ্রি কলেজ, গিন্নীদেবী আগরওয়ালা মহিলা কলেজ, গিলাবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়, রুহিয়া উচ্চবিদ্যালয়, রুহিয়া গার্লস স্কুল ও মুজামন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

যেসব জায়গায় গাছ রোপণ করা হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জেলা শহরের মুন্সিপাড়া কবরস্থানের চারপাশ, খালপাড়ার নদীর তীরবর্তী খাসজমি ও বন্ধুসভার বন্ধু শিহাবের বাগানে। গাছ রোপণের সঙ্গে ট্যাগিংও লাগিয়ে দেওয়া হয়। গাছের মধ্যে ছিল আমগাছ, কাঁঠাল, নিম, কদম, বহেড়া, আমলকী, তেঁতুল, পেয়ারা, অর্জুন, পলাশ, আকাশমণি, হরতকী, পেঁপে, জাম, কৃষ্ণচূড়া ও কড়ই। বন্ধুসভার প্রত্যেক সদস্যকে চারটি করে গাছ দেওয়া হয়, যা তাঁরা নিজ বাসাবাড়িতে রোপণ করেন।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ
ছবি: বন্ধুসভা

বন্ধুরা বলেন, ‘আমরা গাছ রোপণের পাশাপাশি গাছের পরিচর্যাও নিশ্চিত করেছি। যেসব জায়গায় রোপণ করা হয়েছে, এখানে বন্ধুরা নিয়মিত গিয়ে দেখছেন গাছ ঠিকঠাক আছে কি না। এ ছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠানে গাছ বিতরণ করা হয়েছে, সেখানের প্রধান বা দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে। শিক্ষার্থীরা গাছ রোপণ করে পরিচর্যা ও যত্ন নিচ্ছেন কি না, সেই খোঁজখবরও নেওয়া হচ্ছে। আমরা বেশিসংখ্যক গাছ রোপণ করে রেকর্ড গড়তে চাই না। আমরা চাই, যে গাছ রোপণ করেছি, তা বেঁচে থাকুক।’

ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভার এই কর্মসূচির সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন বন্ধু নুসরাত জাহান ও সৈয়দ শিহাব। নুসরাত জাহান বলেন, ‘আমাদের দুজন দুজন করে টিম বানিয়ে দেওয়া আছে। তারা সপ্তাহে সপ্তাহে রোপণ করা গাছের পরিদর্শন করেন। পরিচর্যা লাগলে তা করেন এবং রিপোর্ট দেন।’

আরেক সমন্বয় সৈয়দ শিহাব বলেন, ‘আমরা কোয়ান্টিটির থেকে কোয়ালিটিতে বিশ্বাসী।’

সাধারণ সম্পাদক, ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভা