১৬০তম পাঠের আসরে ‘ছুটির দিনে ভয়ংকর দুপুরে’

ভৈরব বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসর
ছবি: মাহফুজ রহমান

খুব সমস্যার মধ্যে আছে ডিউ, টুইটি, উপল, অর্ক আর শান্তনু। আব্বু-আম্মু ওদের শাসন করেন; সব সময় দেখা হলেই বলেন, এটা করো না, ওটা করো না। খেলাধুলা কম করবে, লেখাপড়া বেশি করবে। নানা ঝামেলা। সবাই ওরা ক্লাস সিক্সে পড়ে, কেবল অর্ক পড়ে ক্লাস ফাইভে। একই বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে থাকে ওরা। অনেক মিটিং, অনেক চিন্তা করে একটা বুদ্ধি বের করে ওরা একদিন। সেই মোতাবেক কাজ করতে থাকে, অনেক কষ্টদায়ক কাজ। কথাগুলো উঠে আসে প্রচার সম্পাদক মহিমা মেধার আলোচনা থেকে।

২২ আগস্টের পড়ন্ত বিকেলে প্রথম আলো ভৈরব অফিসে মুদ্রিত বই পড়ার দলগত আসর পাঠচক্রে বসেন ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধুরা। এবারের বিষয় ছিল জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সুমন্ত আসলামের লেখা বই ‘ছুটির দিনে ভয়ংকর দুপুরে’। এবারের আসরটি ছিল ১৬০তম। সঞ্চালনা করেন পাঠচক্র ও পাঠাগার সম্পাদক জান্নাতুল মিশু।

শুরুতে বন্ধু জিহাদ খান লেখক সুমন্ত আসলাম সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি জানান, তাঁর বাড়িতে একটি পারিবারিক লাইব্রেরি ছিল। ছেলেবেলা থেকেই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠেছে। লেখালেখির শুরুটা ঢাকায় আসার পরে।

বন্ধু প্রাপ্তি ঘোষ বলেন, ‘টুইটি, উপল, অর্ক, ডিউ আর শান্তনু। এরা পাঁচজন একসঙ্গে থাকে। টুইটির ভঙ্গি চৌকস দলনেত্রীর মতো। সে সব সময় সঠিক পরামর্শ দিয়ে সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করে, ওর উপস্থিত বুদ্ধিও বেশ। সারা দিন নানা কাজে নিজেদের ব্যস্ত রাখে, দিন শেষে পরিকল্পনার আসর জমায় তারা। এবার তাদের লক্ষ্য একটি মিশন ইমপসিবলকে পসিবল করা। সেই মিশনের রহস্য উন্মোচন হবে বইয়ের শেষ পৃষ্ঠায়।’

বই পাঠ করছেন এক বন্ধু
ছবি: মাহফুজ রহমান

অধ্যাপক হাবিবুর রহমান প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘বর্তমান সময়ে ভৈরব বন্ধুসভার পাঠচক্র হলো আলোর দিশারি। ‘‘প্রতিনায়ক’’, ‘‘আমার দেখা নয়া চীন’’- এর মতো গাম্ভীর্যপূর্ণ বইগুলো যেভাবে সহজভাবে পাঠ উপযোগী করে তুলছে বন্ধুরা, তার জন্য অভিবাদন তোমাদের।’

পাঠের আলোচনায় আরও যুক্ত হন উপদেষ্টা সুমন মোল্লা, আসাদুজ্জামান সোহেল, সুমাইয়া হামিদ, সাধারণ সম্পাদক রিফাত হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য ইকরাম বখশ। সভাপতি নাহিদ হোসাইন বলেন, ‘এবার আমরা ব্যতিক্রমধর্মী শিশুতোষ বই নির্বাচন করেছি। বন্ধুদের চমৎকার আলোচনায় হারিয়ে গিয়েছিলাম শৈশবে।’

পাঠের আসরে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ সম্পাদক মানিক আহমেদ, জেন্ডার ও সমতা সম্পাদক তানশি নাহার, দপ্তর সম্পাদক আনাস খান ও বন্ধু মাহফুজ রহমান।

সাধারণ সম্পাদক, ভৈরব বন্ধুসভা