‘কবর’ কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে কবি জসীমউদ্দীনের এক অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। অগণিত পাঠকের হৃদয়জয়ী এই কবিতা শতবর্ষে পদার্পণ করেছে। ১৯২৫ সালে ‘কবর’ কবিতাটি প্রথম কল্লোল পত্রিকার তৃতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। কবিতাটি কবির রাখালী কাব্যে স্থান পেয়েছে। এ ধরনের কবিতাকে বলা হয় ড্রামাটিক মনোলগ বা একাকী কথন। একজন গ্রামীণ বৃদ্ধের একে একে সব প্রিয়জন হারানোর বেদনা কবি নিখুঁত বর্ণনায় ফুটিয়ে তুলেছেন। দীর্ঘ এ কবিতার চরণ সংখ্যা ১১৮। কবিতাটি শোক কবিতা। বাঙালির প্রাণের আবেগ অতি নিবিড়ভাবে মিশে আছে এ শোক-প্রকাশক কবিতাটির পঙ্ক্তিতে পঙ্ক্তিতে।
পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের কালজয়ী সৃষ্টি ‘কবর’ কবিতার শতবর্ষ উৎসবে অংশগ্রহণ করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভার বন্ধুরা। ৩ মে বিকেলে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাসাপ। অনুষ্ঠানে আদিনা ফজলুল হক সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মাযহারুল ইসলাম তরুর সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও প্রাবন্ধিক আমিনুল ইসলাম, বিশেষ আলোচক ছিলেন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান মো. গোলাম মোস্তফা।
জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। শুরুতেই ‘কবর’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন স্কুলশিক্ষক আশরাফুল ইসলাম। কবিতার পাঠ বিশ্লেষণ করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভার সাংস্কৃতিক সম্পাদক কবি আনিফ রুবেদ। কবিতাটি নিয়ে আলোচনা করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভার উপদেষ্টা আবদুস সাত্তার, আয়েশ উদ্দিন, সভাপতি আরাফাত মিলেনিয়াম, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক নাহিদুল হকসহ অন৵রা।
সভাপতি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভা