কৌশিক মজুমদারের ‘নীবারসপ্তক’ নিয়ে পাঠচক্র

পাঠচক্র শেষে বরগুনা বন্ধুসভার বন্ধুরাছবি: বন্ধুসভা

কলকাতার জনপ্রিয় লেখক ও সাংবাদিক কৌশিক মজুমদারের লেখা গোয়েন্দা উপন্যাস নীবারসপ্তক নিয়ে পাঠচক্র করেছে বরগুনা বন্ধুসভা। ১৭ জানুয়ারি বিকেলে বরগুনা পৌর কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানিয়া ইভার সঞ্চালনায় শুরুতেই কবি ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকের কখনো আমার মাকে উপন্যাস নিয়ে আলোচনা করেন বন্ধুরা। এরপর শুরু হয় পাঠচক্র।

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক সুবাহ্ তাবাসসুম নীবারসপ্তক বইটির সারাংশ তুলে ধরে বলেন, এক শ বছর আগের হিলির ভূত জেগে উঠেছে। কী সেই হিলির ভূত? কেনই-বা জেগে উঠছে? কী তার উদ্দেশ্য? কে বা কারা জড়িত? এ রকম অসংখ্য প্রশ্ন জাগতে বাধ্য পাঠকমনে। নীবারসপ্তক কৌশিক মজুমদার রচিত—সূর্যতামসীর দ্বিতীয় খণ্ড। ডিটেকটিভ উপন্যাস। শুধু গোয়েন্দা কাহিনি বললে ভুল হবে, বরং তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ইতিহাসের বর্ণনা বইটিকে সমৃদ্ধ এবং চাঞ্চল্যকর করেছে।

এক শ বছর আগের ঘটে যাওয়া কাহিনিগুলোর সঙ্গে বর্তমানের কাহিনিগুলো অর্থাৎ একের পর এক খুন কীভাবে একসুতোয় বাঁধা, সেটা নিয়েই পুরো সিরিজটা। এক শ বছর আগের তারিণীচরণ, প্রিয়নাথ, সাইগারসন, গণপতি প্রমুখ উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির সঙ্গে কীভাবে বর্তমান সময়ের প্রাইভেট ডিটেকটিভ তুর্বসু অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, কী সেই লাগাতার খুনের রহস্য? এগুলো নিয়ে রগরগে বর্ণনা উল্লেখ আছে বইটিতে। পাঠককে টান টান উত্তেজনায় ধরে রাখতে বাধ্য। তুর্বসু কীভাবে এসবের মধ্যে জড়াল, তার প্রপিতামহ (দাদার বাবা) তারিণীচরণ রায় (প্রাইভেট ডিটেকটিভ) কেসগুলো সমাধান করতে পেরেছিল কি না, তারিণীচরণের ছেঁড়া ডায়েরির পাতা, খুচরা খুচরা তথ্য, তৎকালীন সমকালীন পত্রপত্রিকা-বিজ্ঞাপন থেকে পাওয়া গুপ্ত সংস্থা কোড, পুলিশ অফিসার প্রিয়নাথের শেষ কেস, ম্যাজিশিয়ান গণপতির পরিণতি এবং ইউরোপিয়ান ডিটেকটিভ সাইগারসনের কপালের ভাঁজ কি রহস্যের বেড়াজাল বুনছে? তা শেষ পর্যন্ত জানতে পাঠক বইটি পড়তে বাধ্য।

সভাপতি খান নাঈম বলেন, ‘পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে বই পড়ার বিকল্প নেই। আজ আমরা গোয়েন্দা উপন্যাস নীবারসপ্তক–এর নানা অমীমাংসিত রহস্যের সঙ্গে পরিচিত হলাম। বইটি আমাদের মস্তিষ্ক শাণিত করতে ভূমিকা রাখতে পারে।’