জাগরণে জুলাই

ছাত্র–জনতার জুলাই গণ–অভ্যুত্থান এবং ঐতিহাসিক ‘জুলাই শহীদ দিবস’ স্মরণে চট্টগ্রাম বন্ধুসভা আয়োজন করে অন্তর্দর্শনমূলক ও প্রেরণাময় এক ব্যতিক্রমধর্মী আলোচনা সভা ‘জাগরণে জুলাই’ছবি: বন্ধুসভা

ছাত্র–জনতার জুলাই গণ–অভ্যুত্থান এবং ঐতিহাসিক ‘জুলাই শহীদ দিবস’ স্মরণে চট্টগ্রাম বন্ধুসভা আয়োজন করে অন্তর্দর্শনমূলক ও প্রেরণাময় এক ব্যতিক্রমধর্মী আলোচনা সভা ‘জাগরণে জুলাই’। ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বন্ধুসভাকক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আল সোহেলের সঞ্চালনায় বন্ধুরা হৃদয়স্পর্শী আলোচনা ও স্মৃতিচারণায় অংশ নেন। আলোচনায় উঠে আসে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, তাৎপর্য ও তারুণ্যের সক্রিয় ভূমিকা নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তার কথা।

বন্ধুরা ২০২৪ সালের আন্দোলনের সময়ে তাঁদের অংশগ্রহণ ও অভিজ্ঞতার বিবরণ তুলে ধরেন। যেখানে তাঁরা ন্যায়বিচার ও সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সোচ্চার হয়েছিলেন। বন্ধু হাসান সামির বলেন, ‘এই আন্দোলন ছিল শুধু ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং একটি সংগঠিত, সচেতন ও দায়বদ্ধ তরুণ প্রজন্মের নৈতিক প্রতিবাদ।’

ছাত্র–জনতার জুলাই গণ–অভ্যুত্থান এবং ঐতিহাসিক ‘জুলাই শহীদ দিবস’ স্মরণে চট্টগ্রাম বন্ধুসভা আয়োজন করে অন্তর্দর্শনমূলক ও প্রেরণাময় এক ব্যতিক্রমধর্মী আলোচনা সভা ‘জাগরণে জুলাই’।

শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় সেইসব সাহসী তরুণকে, যাঁরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পিছপা হননি। এরপর একে একে বন্ধুরা তাঁদের অভিজ্ঞতা ও ভাবনা তুলে ধরেন। কেউ লেখনী দিয়ে, কেউ পোস্টার বা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে, আবার কেউ মাঠে নেমে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন আন্দোলনে। বন্ধু সামিয়া আক্তার বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে—একটি আন্দোলন কীভাবে চেতনার ভিত্তি গড়ে তোলে।’

সভাপতি ইব্রাহীম তানভীর বলেন, ‘এ আয়োজন কেবল অতীত স্মরণ নয়, বরং ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা। আমরা চাই, নতুন প্রজন্মও এই ইতিহাস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সাহস, সততা ও মানবিক চেতনায় সমাজের কল্যাণে এগিয়ে আসুক।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বন্ধু অনামিকা দাশ, মিনহাজ রাফি, জয় চক্রবর্তী, দেবমিতা নন্দী, দেবশ্রী নন্দী ও হাসান সামির। সমন্বয় করেন সাঈদ আল সোহেল ও আতিয়া ফাইজা।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম বন্ধুসভা