শীতের মৃদু কুয়াশার চাদর সরিয়ে পঞ্চগড়ের সকাল ধীরে ধীরে জেগে ওঠে। মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের ছায়া সুনিবিড় প্রাঙ্গণে আমরা বন্ধুসভার একদল বন্ধু একত্র হই। চারপাশে ছড়িয়ে থাকা বন্ধুসভার বন্ধুদেরই রোপণ করা গাছগুলো যেন সময়ের সাক্ষী। এক দিনের ছোট্ট চারাগুলো আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে, যেন বন্ধুত্বের মজবুত ভিত্তিকে কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করছে।
বৈঠকের মূল আলোচনায় ছিল আসন্ন বনভোজন ও নতুন কমিটি গঠন। কীভাবে বনভোজন আরও স্মরণীয় করা যায়, কে কী দায়িত্ব নেবে, কী বিশেষ কিছু করা যেতে পারে—এসব নিয়ে চলল প্রাণবন্ত আলোচনা। আগের বনভোজনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর কথা মনে করে স্মৃতিচারণা করেন সভাপতি রায়হান শরীফ।
নতুন বন্ধুদের উপস্থিতি বৈঠককে আরও উজ্জ্বল করে তোলে। তাঁরা নিজেদের কৌতূহল, মতামত আর আগ্রহের মাধ্যমে আলোচনায় নতুন রং যোগ করেন। আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে প্রকৃতির সৌন্দর্যও যেন মিশে যাচ্ছিল আমাদের কথোপকথনে। হাসি-ঠাট্টা, স্মৃতিচারণা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা—সব মিলিয়ে এক আনন্দঘন পরিবেশ ছিল পুরোটা সময়জুড়ে। প্রথম আলোর পঞ্চগড় প্রতিনিধি রাজিউর রহমান সে সময় উপস্থিত হন।
বৈঠক শেষে সূর্য যখন মাথার ওপর, আমরা চায়ের আড্ডায় মেতে উঠলাম। চায়ের ধোঁয়া আর কথার স্রোত যেন এক অদৃশ্য সুতায় জড়িয়ে দিল সবাইকে। চায়ের প্রতিটি চুমুকে বন্ধুত্বের উষ্ণতা খুঁজে পেলাম।
শীতের সেই দিনটি ছিল ২৮ ডিসেম্বর। আলোচনার উচ্ছ্বাস আর চায়ের আড্ডার উষ্ণতা আমাদের মনে রয়ে যাবে দীর্ঘদিন। শীতের সকাল থেকে দুপুরে মিশে যাওয়া সেই মুহূর্তগুলো হয়ে থাকবে অনবদ্য স্মৃতি।
বন্ধু, পঞ্চগড় বন্ধুসভা