৯ ডিসেম্বর ছিল বেগম রোকেয়া দিবস এবং ১০ ডিসেম্বর ছিল বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিনের মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বিশেষ ভার্চ্যুয়াল পাঠচক্রের আয়োজন করে নোয়াখালী বন্ধুসভা। ১০ ডিসেম্বর রাতে গুগল মিটে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠচক্রে নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এবং মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় বীর রুহুল আমিনের জীবন ও কর্মের তাৎপর্য বিশদভাবে আলোচিত হয়। বন্ধুরা বেগম রোকেয়ার ‘সুলতানার স্বপ্ন’, ‘অবরোধবাসিনী’, ‘মতিচূর’ এবং তাঁর বিভিন্ন প্রবন্ধের উদ্ধৃতি দিয়ে সমাজে নারী শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক শাহিদা রেশমি বলেন, ‘নারীসমাজের অর্থনৈতিক ও আত্মিক মুক্তি লাভের জন্য শিক্ষা অপরিহার্য। রোকেয়ার এই বার্তা এক শতাব্দী পেরিয়েও আমাদের সমাজে গভীর তাৎপর্য বহন করে। বর্তমান সময়ে সমাজের প্রগতিশীলতা ধরে রাখতে রোকেয়ার প্রগতিশীল চিন্তাধারার অনুশীলন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়।’
আলোচনার দ্বিতীয় অংশে গভীর শ্রদ্ধাভরে বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিনের অসীম সাহসিকতা স্মরণ করা হয়। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশমাতৃকার সেবায় এই নৌসেনার আত্মত্যাগের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বন্ধুরা। বিশেষত ১০ ডিসেম্বর খুলনা শিপইয়ার্ডের কাছে যুদ্ধজাহাজ ‘পলাশ’ আক্রান্ত হওয়ার মুহূর্তেও তাঁর নির্ভীক ভূমিকা এবং দেশের জন্য সর্বোচ্চ উৎসর্গকে গভীর সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করা হয়।
সাংগঠনিক সম্পাদক সানি তামজীদ বলেন, ‘বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের জীবন আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়, যা তরুণ প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।’
এ ছাড়া বন্ধু শান্ত চন্দ্র দে ৯ ডিসেম্বর প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে প্রাকাশিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মনির হোসেনের ‘বেগম রোকেয়া: মৃত্যুর প্রায় এক শ বছর পরেও কেন প্রাসঙ্গিক?’ লেখাটি পড়ে শোনান।
সভাপতি উম্মে ফারহিন বলেন, ‘আমরা ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে একটি প্রগতিশীল সমাজ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ ধরনের গঠনমূলক আলোচনা অব্যাহত থাকবে।’
পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ সম্পাদক তাসমিয়া ইয়াসমিন, ম্যাগাজিন সম্পাদক নুসরাত ফারিন, বন্ধু এ এস এম সায়েমসহ আরও অনেকে।
দপ্তর সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা