মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পাঠচক্রের আসরে ‘বীরাঙ্গনা ১৯৭১’

চাঁদপুর বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসর
ছবি: বন্ধুসভা

যদি বিশ্ব ইতিহাসের দিকে তাকাই, দেখতে পাব যে কোনো একটি জাতিকে দমন ও নির্মূল করার জন্য দুটি অস্ত্র একসঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে। একটি গণহত্যা, অপরটি ধর্ষণ। বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদেরও রয়েছে এমন একটি কলঙ্কিত ইতিহাস। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা নির্মমতার এক চিত্র এঁকেছিল।

একাত্তরে এ দেশের নারীদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনী পাশবিক নির্যাতন চালায়। সে সময় নির্যাতিত, লাঞ্ছিত, নিগৃহীত নারীদের মধ্যে অনেকেরই জীবনপ্রদীপ নিভে গিয়েছিল। আবার কেউ কেউ হয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্যাতিতদের নামের পাশে বীরাঙ্গনা উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছেন।

পাঠচক্র শেষে বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

ড. মুনতাসীর মামুন বীরাঙ্গনাদের মর্মস্পর্শী গাথা তুলে ধরেছেন তাঁর লেখার মাধ্যমে। প্রকাশিত-অপ্রকাশিত ৯০ জন বীরাঙ্গনার বয়ানও সেখানে লিপিবদ্ধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের নির্মম ইতিহাস ফুটে উঠেছে তাঁর লেখা গ্রন্থ ‘বীরাঙ্গনা ১৯৭১’–এ। ১২ আগস্ট বইটি নিয়ে পাঠচক্র করেছে চাঁদপুর বন্ধুসভা। চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে পাঠচক্রের এই আসর হয়।

চাঁদপুর বন্ধুসভার সভাপতি রিফাত কান্তি সেন, ‘যুদ্ধ কখনো শান্তি বয়ে আনে না। নির্যাতনকারীরা ইতিহাসে ঘৃণিত হিসেবেই বিবেচিত হয়। কাপুরুষেরাই ধর্ষণ করে। যুগে যুগে উল্টো তারাই কলঙ্কিত হয়েছে। বীরেরা সর্বদাই সম্মানিত হয়। ঘটনা যতই নির্মম হোক না কেন, জয় হয় সাহসীদের। বীরাঙ্গনারা আমাদের কছে সেসব সাহসী নারী। তাঁদের জন্য রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।’

সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বলেন, ‘বীরাঙ্গনা ১৯৭১’ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের প্রতিচ্ছবি। বইটিতে ফুটে উঠেছে নারীদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের চিত্র। সত্যি এটি মর্মান্তিক। পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন অভ্রনীল অভি, মোনেম শাহরিয়ার, ফাতেমা তানজিন, আয়শা আক্তার, মেহেদী হাসান, মো. হারিছসহ অন্য বন্ধুরা।

সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর বন্ধুসভা