নদীর বুকে জেগে ওঠা ক্ষতের নাম চর। স্বভাবতই চরাঞ্চল পিছিয়ে পড়া এলাকা। তবে তিস্তার বুকে জেগে ওঠা মাঝেরচর, হরিণ চওড়ার গল্পটা অনেকটাই ভিন্ন।
ভৌগলিকভাবে এটি লালমনিরহাটের অংশ হলেও জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ছাড়া এখনকার মানুষজন সেখানে যায় না। তাদের ওঠা-বসা, বাজার-সদাই সবই হয় হারাগাছ, রংপুরের সঙ্গে। চরটিতে না আছে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, না আছে কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
এবার রংপুর বন্ধুসভা মাঝেরচর, হরিণ চওড়াকে নির্বাচন করে প্রথম আলো ট্রাস্টের অর্থায়নে শীতার্তদের কম্বল বিতরণের জন্য। ২১ জানুয়ারি সকাল থেকেই বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও সম্বলহীন মানুষের কাছে টোকেন পৌঁছে দেওয়া হয়। এরপর তিস্তা নদীর জিয়া ঘাটে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাত কম্বল বিতরণ করেন বন্ধুরা।
‘এবারই জেবনের পোতথোম কায়ো কিছু দিল বাহে। ইয়ার আগত কায়ো কিচ্চু দেয় নাই’। এভাবেই কম্বল পেয়ে নিজের উচ্ছ্বাস ও আক্ষেপের কথা বলেন বৃদ্ধা আছিয়া বেগম। কম্বল পাওয়া প্রত্যেক মানুষের মুখে হাসি ফুটে ওঠে।
বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো রংপুরের নিজস্ব প্রতিবেদক জহির রায়হান, আলোকচিত্রী মঈনুল ইসলাম, রংপুর বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক দীপ্ত তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামসহ অন্যান্য বন্ধুরা।
সাধারণ সম্পাদক, রংপুর বন্ধুসভা