অন্যায়ের দায়ে নিরপরাধের মৃত্যুকথা রবীন্দ্রনাথের ‘শাস্তি’

শাবিপ্রবি বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসরছবি: বন্ধুসভা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘শাস্তি’ একটি বিখ্যাত গল্প। গল্পের প্রধান চরিত্র দুই ভাই ছিদাম রুই এবং দুখিরাম রুই—তাদের স্ত্রী রাধা ও চন্দরা।

৭ নভেম্বর বিকেলে ‘শাস্তি’ গল্পটি নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে শাবিপ্রবি বন্ধুসভা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

বন্ধু মোস্তাকিম বিল্লাহর সঞ্চালনায় গল্পটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন প্রচার সম্পাদক সাবিনা আক্তার। তিনি বলেন, গ্রামীণ জীবনের সাবলীল বর্ণনার মধ্য দিয়ে গল্পকার মানবজীবনের এক বিচিত্র চিত্র তুলে ধরেছেন। যেখানে দেখা যায়, দুই ভাই জমিদারবাড়ি থেকে সারা দিন কাজ করে রাতে বাড়ি ফিরে। বাড়ি এসে বড় ভাই ক্ষুধার যন্ত্রণায় বউয়ের কাছে ভাত না পেয়ে রাগের বশবর্তী হয়ে দা দিয়ে তাকে এক কোপ মারে। ফলে বড় জা রাধার মৃত্যু হয়। ছোট জা চন্দরার সঙ্গে রাধার নিত্যদিন ঝগড়া হতো। এই সুযোগ নিয়ে তার স্বামী খুনের দায়ভার চন্দরার ওপর চাপিয়ে দেয় এবং তাকে বোঝাতে থাকে রানি ভিক্টোরিয়ার শাসন আমলে মেয়েদের ফাঁসি হয় না।

অভাগা চন্দরা সব দায়ভার নিজের ওপর তুলে নেয়। একরাশ অভিমান নিয়ে অবশেষে ফাঁসির আদেশে তার মৃত্যু হয়।

পাঠচক্রের আসরে উপস্থিত ছিলেন বন্ধু শাফিনুর ইসলাম, জনি জান্নাত, সাবিনা আক্তার, মৃদুল রাজবংশী, মোস্তাকিম বিল্লাহ, তৌহিদুল ইসলামসহ অন্য বন্ধুরা।