জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে নোয়াখালী বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসর

নোয়াখালী বন্ধুসভার এ বছরের সপ্তম পাঠচক্রের আসরছবি: বন্ধুসভা

‘পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে অন্ধকারে রই।’ একেকটি বই একেকটি বাতিঘর, যা আমাদের জানা আর জ্ঞানের পরিধির বিস্তৃতি ঘটানোর পাশাপাশি মনস্তাত্ত্বিক সুখের উৎস হিসেবে কাজ করে। হোক সে সমসাময়িক কোনো বিষয়, বিজ্ঞান, ধর্ম, সমাজ, ইতিহাস, জীবনমুখী কিংবা চিত্তবিনোদন। ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে নোয়াখালী বন্ধুসভার পাঠের আসরে এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন বন্ধুরা। জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

নোয়াখালী শহর মাইজদী থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে বন্ধুদের খুব একটা যাওয়া হয় না। তবে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে বন্ধুরা এবার জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার ভ্রমণ এবং সেখানে এ বছরের সপ্তম পাঠচক্রের আয়োজন করেন।

বেলা ১১টায় বন্ধুরা গ্রন্থাগারে পৌঁছে প্রথমেই যাঁর যাঁর পছন্দমতো বই নিয়ে পড়তে বসে যান। পরে আলোচনা শুরু হলে পরিচয় পর্ব শেষ করেন। পাঠের আসর সঞ্চালনা করেন সভাপতি আসিফ আহমেদ। তিনি বন্ধুদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

পাঠের আসরে বন্ধুদের পড়ার জন্য নেওয়া বইগুলো থেকে বিভিন্ন ছোটগল্প পড়া হয়। যার মধ্যে ছিল সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘টুনি মেম’ বই থেকে ‘রাঁধে মেয়ে কি চুল বাঁধে না?’, জীবনানন্দ দাশের ‘বেলা অবেলা কালবেলা’ বই থেকে ‘সামান‍্য মানুষ’, সুকুমার রায়ের ‘কিশোর গল্প’ বই থেকে ‘আজব সাজা’ ও গোপাল ভাঁড়ের হাসির গল্প ‘ইলিশ মাছের গল্প, জোড়া কথা’ ইত্যাদি।

জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে পাঠচক্র শেষে নোয়াখালী বন্ধুসভার বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

সাধারণ সম্পাদক উম্মে ফারহিন বলেন, ‘বন্ধুদের বই পড়ার আগ্রহ দেখে ভালো লাগছে। আশা করছি, পরবর্তী সময় এ গ্রন্থাগারে আরও পাঠের আসরে বসব, বই পড়ব।’ উপদেষ্টা সুমন নূর বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের নানামুখী চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কারও কৃষিকাজ, কারও মৎস্যক্ষেত্র নিয়ে জীবন পরিচালনা, নভোচারীদের মহাকাশ যাত্রাসহ আরও অনেক কিছু। আর আমরা প্রত্যেকেই সম্ভাবনাময়। এই সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন জ্ঞানার্জন করা। তাই আশাহত না হয়ে, হতাশায় ডুবে না থেকে জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হবে। সে জন্য বই পড়ার বিকল্প কিছুই হতে পারে না।’

এ সময় বন্ধুদের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ দেখে গণগ্রন্থাগারে কর্মরত নূর আলম ভাই খুশি হয়ে সবাইকে পাঠাগারের নিয়মিত পাঠক হওয়ার প্রস্তাব দেন। পরবর্তী সময় এখানে আরও পাঠের আসর করতেও বলেন। পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া সুলতানা, মো. শিমুল, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক আফরিনা আনিকা, সহসাংগঠনিক সম্পাদক তাজকির হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ধ্রুব ভুঁইয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য নয়ন চন্দ্র কুরী, বন্ধু জারিন, ফারিন, সালমা, সাগরসহ আরও অনেকে।

সহসাংগঠনিক সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা