জামালপুর বন্ধুসভার পাঠচক্র ‘আমার দেখা নয়াচীন’

বই পাঠ করছেন এক বন্ধু, অন্যরা মনোযোগী শ্রোতা
ছবি: বন্ধুসভা

‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীন ভ্রমণের অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা একটি ডায়েরির পুস্তকি রূপ। ১৯৫৪ সালে রাজবন্দী থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু চীন ভ্রমণের সরস বিশ্লেষণ করেন। তিনি এই লেখার নাম দেন ‘নয়াচীন ভ্রমণ’। পরে এ ডায়েরিই ‘আমার দেখা নয়াচীন’ নামে বই আকারে প্রকাশ করা হয়।

শোকের মাস উপলক্ষে ২৬ আগস্ট বইটি নিয়ে পাঠচক্র করেছে জামালপুর বন্ধুসভা। বিকেল সাড়ে চারটায় সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ প্রাঙ্গণে এটি অনুষ্ঠিত হয়। পাঠচক্র শুরুর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পরিবারের সব শহীদকে স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন বন্ধুরা।
এরপর ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইয়ের ভূমিকা পড়ে শোনান জামালপুর বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন। বইয়ের বিভিন্ন অংশ পাঠ করেন সাংগঠনিক সম্পাদক নিজামুল করিম, প্রচার সম্পাদক অন্তরা চৌধুরী ও জেন্ডার সমতাবিষয়ক সম্পাদক কানিজ ফাতেমা। পুরো বইটির সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা করেন বন্ধু রুবেল হোসেন।

পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান ও জামালপুর বন্ধুসভার উপদেষ্টা আবদুল হাই আলহাদী। তিনি বন্ধুদের উদ্দেশে বলেন, ‘একবার চিন্তা করে দেখো, কারাগারে বন্দী অবস্থায় যেখানে প্রতিনিয়ত বঙ্গবন্ধুর জীবন হুমকির মুখে ছিল, তার মধ্যেই তিনি ডায়রিতে বইটি লিখেছেন। বঙ্গবন্ধুর এই লেখা পড়ে মনে হয়, তিনি এক মুহূর্তের জন্যও মৃত্যুকে ভয় পাননি। তোমরাও এখন থেকে চেষ্টা করবে, জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ডায়েরিতে লিখে রাখার।’

সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন জামালপুর বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি সিফাত আবদুল্লাহ্, সভাপতি মোহাইমিনুল ইসলাম, উপসাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আশা সরকার, বন্ধু জান্নাতুল নাঈম, চাঁদনী আক্তার প্রমুখ।

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, জামালপুর বন্ধুসভা