বাগেরহাটে অনুষ্ঠিত হলো প্রথম আলোর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সুধী সমাবেশ। পাঠক তানুজী নাগ জানান, তাঁদের পরিবারে এক দিন প্রথম আলো না এলে যেন একজন সদস্যের অনুপস্থিতি অনুভূত হয়। প্রথম দিন থেকেই তিনি পত্রিকাটির নিয়মিত পাঠক। ২৭ বছর ধরে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রথম আলোর নির্ভীক অবস্থানই তাদের আস্থা আরও দৃঢ় করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
২৭ নভেম্বর বিকেলে বাগেরহাট শহরের উপকণ্ঠে হোটেল ধানসিঁড়ির মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় এই সুধী সমাবেশ। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর বাগেরহাট প্রতিনিধি সরদার ইনজামামুল হক। অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, উন্নয়নকর্মী ও পেশাজীবীরা অংশ নেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও বন্ধুসভার উপদেষ্টা ডা. প্রদীপ কুমার বকশী বলেন, ‘প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণ না পড়লে মনে হয় দিনের কাজই অসম্পূর্ণ রয়েছে। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোই প্রথম আলোর সবচেয়ে বড় শক্তি।’
প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ চৌধুরী আবদুর বর বলেন, ‘প্রথম আলো শুরু থেকেই পড়ি। দেশের বাইরে গেলেও অনলাইনে চোখ রাখি। প্রতিবছর সুধী সমাবেশে পাঠকদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে ভালো লাগে।’
প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন শওকত হোসেন পাঠকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘শিক্ষক, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সংবাদকর্মী—সবার সম্মিলিত অবদানেই সমাজ এগিয়ে যায়। আপনাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পেরে আনন্দিত।’
শওকত হোসেন বলেন, ‘প্রথম আলো সব সরকারের সময়ই চাপের মুখে ছিল। কিন্তু গণমানুষের আস্থার জায়গা হিসেবে সত্যকে সাহসিকতার সঙ্গে তুলে ধরেছে। গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট ব্লক থাকলেও মানুষ প্রথম আলোর ছাপা কাগজের ওপর নির্ভর করেছিল।’
অনুষ্ঠানে বাগেরহাট বন্ধুসভার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা সরদার ইনজামামুল হক, সভাপতি মাহামুদ হাসান, সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া আফরিন, বন্ধু রাকিবুল ইসলাম, তয়ন সাহা জয়, তহুরুন নেছা ইপসা, ফাতিহা হক ইলিজা, সাইফুল ইসলাম, নাফিস রিশাদ, আশা আক্তার, তৌফিক হারুন ও ইমরান শিকদারসহ অন্যান্য বন্ধুসভা।
সাংগঠনিক সম্পাদক, বাগেরহাট বন্ধুসভা