‘লোটাকম্বল’ বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের একটি উপন্যাস। উপন্যাসটি দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছিল দুই পর্বে। পরবর্তীকালে আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এটি দুটি খণ্ডে শক্ত বাঁধাই বই হিসেবে প্রকাশিত হয়। ‘লোটাকম্বল প্রথম খণ্ড’ বই আকারে প্রকাশিত হয় ১৯৮৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে। দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালের জানুয়ারিতে। বই দুটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন শিল্পী সুনীল শীল। আনন্দ পাবলিশার্স বইটির অখণ্ড সংস্করণ প্রকাশ করে ২০০৯ সালের জুনে।
জনপ্রিয় উপন্যাস ‘লোটাকম্বল’ ঘাত-প্রতিঘাত, দুঃখ-সুখের টানাপোড়েনে তৈরি শাশ্বত জীবনবেদ। ভেঙে যাওয়া যৌথ পরিবারের এক নিঃসঙ্গ প্রৌঢ় উপন্যাসটির সম্পদ, হিমালয়ের মতো যার ব্যক্তিত্ব, অসম্ভব যার আদর্শনিষ্ঠা। বাইরে কোমল লাবণ্য। মা-হারা যুবক সন্তানের মধ্যে তিনি সঞ্চারিত করতে চান জীবনের শ্রেষ্ঠ গুণ আর মূল্যবোধ। দুই পুরুষের মূল্যবোধ আর দৃষ্টিভঙ্গির ঠোকাঠুকির মধ্যে আরেক পুরুষ। তিনি বৃদ্ধ মাতামহ। আধ্যাত্মিকতার বাতিটি তুলে যিনি খুঁজে পেতে চান সেই চিরচাওয়া পরমপুরুষটিকে। বান্ধবী মুকু, সংগীতসাধক মেলে সুবৃহৎ, ব্যঞ্জনামুখর এই উপন্যাসে। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের ‘লোটাকম্বল’ যেন অগণিত চরিত্রের বহুবর্ণরঞ্জিত এক বিরাট জীবনবৃত্ত ভেঙে মন ছুটে যেতে চায় উত্তরণের পথে, উপলব্ধি হয়—বৈরাগ্য অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
৭ জুন উপন্যাসটি নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে সিলেট বন্ধুসভা। প্রথম আলোর সিলেট অফিসের বন্ধুসভা কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠচক্রে বইটির প্রকাশকাল ও মূল বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেন বন্ধু সুবর্ণা দেব। তিনি বলেন, ‘লোটাকম্বল’ মূলত একটি হাসির উপন্যাস হলেও এটি একটি মূল্যবোধের উপন্যাস। হাসির ছলে জীবনদর্শনের বহিঃপ্রকাশের এক সুন্দর উদাহরণ বইটি।
বন্ধু অনুপমা দাস বলেন, সর্ববৃহৎ এই উপন্যাসে অনেকগুলো চরিত্রের দেখা পাওয়া যায়। উপন্যাসটি অগণিত চরিত্রের বহুবর্ণরঞ্জিত এক বিরাট ক্যানভাস।
পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন অন্তর শ্যাম, সমীর বৈষ্ণব, দেব রায় সৌমেন, ফারহানা হক, সমরজিৎ হালদার, সাজন বিশ্বাস, সৈনিক বৈষ্ণব, সৌম্য মণ্ডল, কৃত্য ছত্রী, নাজমুস সাকিব, জুনায়েদ আহমদ, রায় ধীমহিসহ অন্য বন্ধুরা।
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, সিলেট বন্ধুসভা