জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের আহ্বানে ‘সহমর্মিতার ঈদ’ কর্মসূচি করেছে নরসিংদী বন্ধুসভা। এর অংশ হিসেবে ২৫ থেকে ২৯ মার্চ নরসিংদীর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ৬০ শিশুকে নতুন পোশাক উপহার দেন বন্ধুরা। পাশাপাশি হাত রাঙিয়ে দেওয়া হয় মেহেদির রঙে।
এভাবেই পাঁচ দিন ধরে নরসিংদী বন্ধুসভার বন্ধুরা বিভিন্ন এলাকায় যাচাই-বাছাই করে নিম্ন আয়ের পরিবার খুঁজে বের করে ঈদ আনন্দ ছড়িয়ে দিয়েছেন। নরসিংদী রেলস্টেশনসংলগ্ন এলাকা, শহরের খালপাড় ও আরশীনগর বস্তিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ ছাড়া কয়েকজন ভিক্ষুকের হাতে খাদ্যসহায়তা এবং ছিন্নমূল শিশুর হাতে নতুন জামা তুলে দেওয়া হয়। খাদ্যসামগ্রীর তালিকায় ছিল, সেমাই, পোলাওর চাল, নুডলস, সয়াবিন তেল, তরল দুধ, চিনি, পেঁয়াজ ও কিশমিশ।
আট বছর বয়সী ইভার বাবা রাজমিস্ত্রির সহকারীর কাজ করেন। জামা হাতে পেয়ে একগাল হেসে ইভা বলে, ‘তোমগোর দেওয়া জামাটা খুব সুন্দর। ঈদের দিন পইরা ঘুরতে বাইর হমু।’
অসুস্থ হয়ে ছয় মাস ধরে ঘরে পড়ে থাকা বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী রহিমা আক্তার বলেন, ‘এক্সিডেন্ট কইরা পা ভাইঙ্গা কাজের মানুষটা ঘরে পইড়া আছে। বাচ্চাডারে একটা জামাও কিন্যা দিতে পারি নাই। আপনারা তারে জামা কিন্যা দিয়া, ঈদের বাজার কইরা দিয়া আমাগর অনেক উপকার করছেন। আল্লাহ আপনাগর ভালো করব।’
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অসচ্ছল পরিবারগুলোর সদস্যদের, বিশেষ করে শিশুদের মুখের হাসি উপভোগ করে বন্ধুরাও খুবই আনন্দিত। তাঁরা বলেন, নতুন জামা পাওয়ার পর একটি শিশুর মুখে যে হাসি ফুটে উঠে, তা দেখতে পাওয়া সত্যিই আনন্দের। উপদেষ্টা, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ঈদ বাজেটের একটি অংশের অর্থায়ন থেকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে অংশ নেন প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি প্রণব কুমার দেবনাথ, নরসিংদী বন্ধুসভার সভাপতি মাইনুল রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক সায়মা বিথী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, তুলি দে, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, অর্থ সম্পাদক আফরোজা সেতু, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সম্পাদক ফারাবি আল নাইম, দপ্তর সম্পাদক ঐশী বর্মণ, বন্ধু আনিকা রহমান, মারিয়া জান্নাত, মুশফিরাত তাসনিম, কাকলী বর্মণ, অঞ্জন দাস প্রমুখ।
সাধারণ সম্পাদক, নরসিংদী বন্ধুসভা