ভ্যাপসা গরমকে পাশ কাটিয়ে ৭ জুন রংপুর জিলা স্কুল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হলো স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াড। সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের প্রাণোচ্ছল উপস্থিতিতে ভরে ওঠে স্কুলপ্রাঙ্গণ। স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াডে অংশ নিতেই ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে তাদের এ জমায়েত।
যক্ষ্মার বিস্তার রোধ ও স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইউএসএআইডির অর্থায়নে এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) পরিচালনায় প্রথম আলো এর আয়োজন করছে। সহযোগিতা করছে প্রথম আলো বন্ধুসভা।
এদিন সকাল নয়টায় রংপুর জিলা স্কুল মিলনায়তনের সামনে বেলুন উড়িয়ে স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রথম আলোর এই আয়োজন প্রশংসার দাবি রাখে। প্রথমবারের মতো স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াডে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ সাড়া পড়েছে। তোমরা যারা এই অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছ, এখান থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারবে। তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তোমরাই হবে আগামীর বাংলাদেশ।’
উদ্বোধনী পর্বে আরও বক্তব্য দেন আইসিডিডিআরবির প্রতিনিধি মাহফুজার রহমান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তুহিন ওয়াদুদ, স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াডের সদস্য, রংপুর বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক সাইদুর জামান প্রমুখ।
উদ্বোধনের পর ৩০ মিনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে চলে উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ। পাশাপাশি দেয়ালিকা প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়। এরপর মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন আইসিডিডিআরবির প্রোগ্রাম কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান, রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ শাহ মো. সরওয়ার জাহান, জেলা সিভিল সার্জন মো. ওয়াজেদ আলী, রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক সৈয়দ মামুনুর রহমান, আইসিডিডিআরবির চিকিৎসক আবদুল ওয়াদুদ।
স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াড ও দেয়ালিকা প্রতিযোগিতায় রংপুর জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রাইমারি, জুনিয়র, সেকেন্ডারি—এই ৩ বিভাগে ৪০ জনকে বিজয়ী নির্বাচিত করা হয়, যারা ঢাকায় জাতীয় স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। বিজয়ীদের সনদ, মেডেল ও টি-শার্ট উপহার দেওয়া হয়।
সহসাংগঠনিক সম্পাদক, রংপুর বন্ধুসভা