পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, পাঠচক্র ও মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে ভাষাশহীদদের স্মরণ

ভাষাশহীদদের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার মোমবাতি প্রজ্বালনছবি: বন্ধুসভা

নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও জাতীয় শহীদ দিবস উদ্‌যাপন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা। ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে জাতীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনবিষয়ক জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’ উপন্যাস নিয়ে বিশেষ পাঠচক্র এবং সবশেষে ভাষাশহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন করেন বন্ধুরা।

জাতীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ
একুশের প্রথম প্রহরে জাতীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার বন্ধুরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আনমুন জেসমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাহিদুর রহমানসহ কার্যনির্বাহী কমিটির অন্য সদস্যরা।

পাঠচক্র
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনবিষয়ক জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’ উপন্যাসটি নিয়ে বিশেষ পাঠচক্র করেন বন্ধুরা। পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আনমুন জেসমিন।

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক ফাতেহী নূর লিজা প্রথমে লেখক এবং পরবর্তী সময়ে বইটি সম্পর্কে আলোচনা করেন। এরপর একে একে সহসভাপতি খাদিজাতুল কোবরা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইফাদ হাসান, কার্যনির্বাহী সদস্য মামুনসহ অন্যরা বইটির রিভিউ দেন।

খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ‘লেখক “আরেক ফাল্গুন” উপন্যাসে যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে, তা ২০২৪-এর জুলাই আন্দোলনকে অনেকটা উৎসাহিত করেছে। “আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হব” উক্তিটি অনেক ব্যবহৃত হয়েছে।’ বন্ধু ইফাদ হাসান বলেন, ‘এই উদ্ধৃতিটি এ উপন্যাসের সবচেয়ে শক্তিশালী উক্তি।’

একুশের প্রথম প্রহরে জাতীয় শহীদ মিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ
ছবি: বন্ধুসভা

নাফি বিন মামুনের কাছে সমালোচনামূলক মতামত পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘যদি ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশে স্বীকৃতি না পেত, তাহলে তাঁর এ বইটি কালের গর্ভে হারিয়ে যেত। তাঁর উপন্যাসে লেখক বাস্তবতার মিল খুবই কম রেখেছেন।’

এ ছাড়া সভাপতি মেহেদী হাসানসহ পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইশিতা জাহান, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক মেহেরাজ হাসান, ম্যাগাজিন সম্পাদক আয়েশাতুন নূর পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন।

মোমবাতি প্রজ্বালন
পাঠচক্র শেষে ভাষাশহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার বন্ধুরা। এ সময় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

নীরবতা পালন শেষে বন্ধুরা গেয়ে ওঠেন ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি। সবার চোখেমুখে ভাষাশহীদদের প্রতি নিদারুণ সম্মান এবং কৃতজ্ঞতা দেখা যায়।

সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা