ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তির গল্প শোনায় ‘পথের দাবী’

পাঠচক্র শেষে সিলেট বন্ধুসভার বন্ধুরাছবি: বন্ধুসভা

‘পথের দাবী’ বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগের অন্যতম বাঙালি কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি জনপ্রিয় উপন্যাস। এ উপন্যাসটি ১৯২৬ সালের আগস্টে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে এক অসাধারণ বিপ্লবী সব্যসাচী ও তাঁর সাথিদের সংগ্রামের কাহিনি নিয়ে ব্রিটিশ শাসনামলে লিখিত একটি রাজনৈতিক ও সাহসী উপন্যাস, যেটি ব্রিটিশ শাসিত ভারতে নিষিদ্ধ হয়েছিল।

বইটির মুখ্য চরিত্র সব্যসাচী অর্থাৎ ডাক্তার এক পর্বতের মতো দৃঢ় ব্যক্তিত্ব। তাঁর কণ্ঠে স্বাধীনতার কথা এমনভাবে শোনা যেত, যা কেবল উপন্যাসের চরিত্র নয়, পাঠকদেরও মর্ম স্পর্শ করে। বইয়ে শুধু বিপ্লব নয়, বরং ব্যক্তিজীবনের অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে। সংগ্রামের কঠিন পথের মধ্যে ভালোবাসার রশ্মিও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দেখিয়েছেন।

সব মিলিয়ে বইটি ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে মুক্তির এক সুন্দর গল্প শোনায়। যেখানে দেশদ্রোহী উপাখ্যান পাওয়া সব্যসাচী পাঠকের মনে সম্পূর্ণভাবে রাজত্ব করে নেন।

১৫ মার্চ বিকেলে ‘পথের দাবী’ উপন্যাসটি নিয়ে পাঠের আসর করেছে সিলেট বন্ধুসভা। প্রথম আলোর সিলেট অফিসের বন্ধুসভা কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

পাঠচক্রে বইটির প্রকাশকাল ও মূল বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেন বন্ধু ফয়সাল আহমেদ। তিনি বলেন, উপন্যাসটি যেসব ছোট ছোট ঘটনা নিয়ে সাজানো, তা পড়লে স্বাধীনতা অর্জনের পেছনের কঠিন পরিস্থিতির গল্প পাঠক নিজের হৃদয়ে আবিষ্কার করবে। সেখান থেকে দেশপ্রেমের নতুন এক পথ সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

বন্ধু ফারিহা ফিমা বলেন, শত্রুপক্ষের সঙ্গে লড়াইয়ের মতো নিজের সত্তার সঙ্গে লড়াইও যে মারাত্মক কঠিন এক লড়াই—‘পথের দাবী’ তা দাবির সঙ্গে নির্দেশ করতে পেরেছে। পাঠের আসরে আরও উপস্থিত ছিলেন অন্তর শ্যাম, ফারহানা হক অমি, দ্বীপানীতা সেন, দেব রায় সৌমেন, রেজাউল হক ইমন, সূবর্ণা দেবসহ অন্য বন্ধুরা।