শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটগল্প ‘মামলার ফল’ নিয়ে পাঠচক্র

অনলাইনে নোয়াখালী বন্ধুসভার পাঠচক্র

বাঙালির জীবনের আনন্দ-বেদনাকে সাবলীল স্বচ্ছন্দ ভাষায় যে কথাশিল্পী পরম সহানুভূতিভরে তুলে ধরেছেন বাংলা সাহিত্যে, তিনি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁরই অনবদ্য সৃষ্টি ‘মামলার ফল’ ছোটগল্প নিয়ে পাঠচক্র করেছে নোয়াখালী বন্ধুসভা। ১৩ মার্চ রাত ১০টায় অনলাইন গুগল মিট অ্যাপে এটি অনুষ্ঠিত হয়। সঞ্চালনা করেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক শাহিদা রেশমি।

ছোট একটা সমস্যার থেকে যে বড় সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, তারই প্রমাণ পাওয়া যায় এই গল্পে। আর সেই সমস্যার ফল যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে, লেখক তা–ও তুলে ধরেছেন। গল্পটির উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ হলো গয়ারাম, গঙ্গামণি, শিবু, শম্ভু, শম্ভুর দ্বিতীয় বউ, পাঁচু, চৌধুরীমশাই প্রমুখ। গল্পটার মূলকাহিনি চিত্রপট তুলে ধরেন বন্ধু শান্ত দে।

দপ্তর সম্পাদক নয়ন চন্দ্র কুরী বলেন, ‘গর্ভধারণ না করেও যে একজন নারী মা হয়ে উঠতে পারেন, তা–ই দেখা যায় এই গল্পে।’ তাঁর এই কথায় সম্মতি জানান সাংগঠনিক সম্পাদক সানি তামজীদ।

সাধারণ সম্পাদক মো. শিমুল বলেন, ‘গল্পটির শেষে গঙ্গামণি হাতপাখা দিয়ে বাতাস করে গয়ারামকে খাওয়ানোর ব্যাপারটা সত্যিই হৃদয়গ্রাহী ছিল।’

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক শাহিদা রেশমি বলেন, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা মানেই অনবদ্য লেখনী। তাঁর গল্পের প্রতিটি চিত্র লেখার মাধ্যমে প্রাণবন্ত করে তোলেন তিনি। তেমনি একটি ভালো লাগার ও শিক্ষণীয় ছিল ‘মামলার ফল’ গল্প।

পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থসম্পাদক তাসমিয়া ইয়াসমিন, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কার্যকরী সদস্য জুনাইন কাউসার, বন্ধু মো. আসিফ, শান্ত চৌধুরীসহ অন্য বন্ধুরা।