মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে খুলনা বন্ধুসভার প্রদীপ প্রজ্বালন
ছবি: বন্ধুসভা

১৪ ডিসেম্বর ছিল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি এক কালো অধ্যায়। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালিরা হারিয়েছিল তাদের সূর্যসন্তানদের। দিনটিকে স্মরণীয় করতে ও আগামী প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে তুলে ধরতে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের একজন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের সমাধিতে প্রদীপ প্রজ্বালন করেছে খুলনা বন্ধুসভা। পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সহসভাপতি আসফিক আহমাদ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আলোচনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজী মাসুদুল আলম, শিক্ষানুরাগী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সুরাইয়া ইয়াসমিন হীরা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক অমিত সরদার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাত প্রমুখ।

অধ্যাপক কাজী মাসুদুল আলম বলেন, ‘একই দিনে পরিকল্পিতভাবে এত বেশি বুদ্ধিজীবী হত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোথাও হয়নি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, দিবসটি সম্পর্কে আমরা খুব বেশি অবগত হতে পারিনি। এখনো শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সংখ্যা নিয়ে সঠিক তথ্য ও নারকীয়তা সম্পর্কে সুবৃহৎ কোনো তথ্য–উপাত্ত আমাদের নেই। এসব বিষয়ে আমাদের এখনো অনেক গবেষণা, আলোচনা ও পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।’

সুরাইয়া ইয়াসমিন হীরা বলেন, ‘আমার বাবা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সোলায়মান আলী সরকারের মুখে এই দিনটির ভয়াবহতা সম্পর্কে শুনেছি। বীভৎস সেসব ঘটনা আমাদের চমকে দেয়, রীতিমতো শিহরিত করে তোলে। বহু কষ্ট ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই প্রিয় দেশ।’

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে খুলনা বন্ধুসভার প্রদীপ প্রজ্বালন
ছবি: বন্ধুসভা

অমিত সরদার বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও এর প্রভাব পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এটা আমাদের নাগরিক ও নৈতিক দায়িত্ব। ইতিহাসকে জানতে হবে, সেসব বীর সন্তানদের অকুণ্ঠ ত্যাগ আমাদের দেশের প্রতি মমত্ববোধ বাড়িয়ে তোলে।’

আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পাপন কংস বণিক, অর্থ সম্পাদক শেখ হাফিজুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ফারজানা যুথি, বইমেলা সম্পাদক শ্রাবন্তী কুণ্ডু, বন্ধু রিশিতা আক্তার, ইমন মিয়া, সালমান আহমেদ, নাজমুল হোসাইন, অর্ণব মণ্ডল, অনির্বাণ সরকার প্রমুখ।

সাধারণ সম্পাদক, খুলনা বন্ধুসভা