জাতীয় শিশু দিবসে ‘শেখ মুজিবের ছেলেবেলা’ নিয়ে পাঠচক্র

নোবিপ্রবি বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসরছবি: সংগৃহীত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে পাঠচক্র ও আলোচনা সভা করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা। ১৭ মার্চ অনলাইন গুগল মিট অ্যাপে এটি অনুষ্ঠিত হয়। পাঠচক্রের বিষয় ছিল সাংবাদিক, লেখক ও রাজনীতিবিদ বেবী মওদুদ রচিত বই ‘শেখ মুজিবের ছেলেবেলা’।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে নোবিপ্রবি বন্ধুসভার সভাপতি আবু রায়হান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা। তাঁর রাজনৈতিক জীবন ঘটনাবহুল, তেমনি শৈশব-কৈশোরও রঙিন। আমাদের আজকের পাঠচক্র বঙ্গবন্ধুর এই শৈশব-কৈশোর নিয়েই। তাঁর শৈশব-কৈশোরের সোনালি সময় থেকে আমরা শিক্ষা ও দীক্ষা নিতে পারব।’

‘শেখ মুজিবের ছেলেবেলা’ বই থেকে বন্ধুদের আলোচনার পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউন থেকে একটি কলাম পাঠ করে শোনান পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক নকীবুল হক। এমরান হোসাইন শেখের লেখা ‘কেমন ছিল বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলা’ শিরোনামের এই কলামে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বইয়ের উক্তি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আমার আব্বার শৈশব কেটেছিল টুঙ্গিপাড়ার নদীর পানিতে ঝাঁপ দিয়ে, মেঠো পথের ধুলোবালি মেখে। বর্ষার কাদাপানিতে ভিজে। বাবুই পাখি বাসা কেমন করে গড়ে তোলে, মাছরাঙা কীভাবে ডুব দিয়ে মাছ ধরে, কোথায় দোয়েল পাখির বাসা, দোয়েল পাখির সুমধুর সুর আমার আব্বাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করত। আর তাই গ্রামের ছোট ছোট ছেলেদের সঙ্গে মাঠে-ঘাটে ঘুরে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে বেড়াতে তাঁর ভালো লাগত। ছোট্ট শালিক পাখির ছানা, ময়না পাখির ছানা ধরে তাদের কথা বলা ও শিস দেওয়া শেখাতেন। বানর ও কুকুর পুষতেন, তারা তার কথামতো যা বলতেন তা-ই করত। এই পোষা পাখি, জীবজন্তুর প্রতি এতটুকু অবহেলা তিনি সইতে পারতেন না।’

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, নোবিপ্রবি বন্ধুসভা