সত্যজিৎ রায় রচিত ‘তারিণীখুড়োর কীর্তিকলাপ’ বই নিয়ে পাঠচক্রের আসর করে জামালপুর বন্ধুসভা। ১১ এপ্রিল বিকেলে আশেক মাহমুদ কলেজ মাঠে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
বন্ধু হৃদয় প্রথমে ‘টালিউডে তারিণীখুড়ো’ গল্পটা সম্পর্কে আলোচনা করেন। বন্ধু রাসেল ‘খেলোয়াড় তারিণীখুড়ো’ গল্প সম্পর্কে বলেন। বন্ধু মেহেদী ও কার্যনির্বাহী সম্পাদক আদিল বাংলা সাহিত্যে বিরাজমান অন্য চরিত্রদের সঙ্গে তারিণীখুড়োর তুলনামূলক আলোচনা করেন।
তারিণীখুড়ো সত্যজিৎ রায় সৃষ্ট বাংলা সাহিত্যের একটি কাল্পনিক ও অবিস্মরণীয় চরিত্র। পুরো নাম তারিণীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি একজন চিরকুমার মজলিশি বৃদ্ধ। যিনি তার জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা নিয়ে গল্প বলতে ভালোবাসেন।
পল্টু নামের একটি কিশোর ছেলে তারিনখুড়োর গল্পের প্রধান শ্রোতা। পল্টু ছোটবেলা থেকেই তাকে তাদের বালিগঞ্জের বাড়িতে ঘন ঘন আসতে দেখেছে। পল্টুর জন্মের আগে তারিণীখুড়ো এবং তার পরিবার ঢাকাতে পল্টুদের প্রতিবেশী ছিল। পল্টুর বাবা তাকে ‘খুড়ো’ বলে ডাকত। তাই পল্টু ও তার পাঁচ বন্ধু তাকে খুড়ো বলেই ডাকে। তারিণীখুড়ো পল্টুদের বাড়িতে এলে তার বন্ধুরা সেখানে এসে ভিড় করে এবং খুড়োর কাছ থেকে আশ্চর্য সব গল্প শোনে।
তারিণীখুড়োর গল্পগুলোতে প্রায়শই অতিপ্রাকৃত শক্তির স্পর্শ থাকে। সত্যজিৎ রায় ফেলুদা ও প্রফেসর শঙ্কু চরিত্র দুটি সৃষ্টির পর এই চরিত্রটি তৈরি করেন। তারিণীখুড়োকে নিয়ে তিনি প্রায় পনেরোটি গল্প লিখেছেন। তারিণীখুড়োর কীর্তিকলাপ নামে সত্যজিৎ রায়ের লেখা একটি বইতে তারিণীখুড়োর আটটি গল্প সংকলিত হয়েছে। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আনন্দ পাবলিশার্স থেকে। পরে তারিণীখুড়োর সমস্ত গল্প ‘গল্প ১০১’ নামক সংকলনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার, সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক ফারজানা আক্তার, বইমেলা সম্পাদক আমির হামজাসহ অন্য বন্ধুরা।
সাংগঠনিক সম্পাদক, জামালপুর বন্ধুসভা