‘ন্যাচার থ্রো মাই লেন্স’ ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

সনদ হাতে অতিথিদের সঙ্গে ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা
ছবি: বন্ধুসভা

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশবান্ধব চিন্তাধারা তুলে ধরতে আয়োজিত ছবি তোলা প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা। ২২ মে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।

হালিমা গ্রুপের সৌজন্যে ‘ন্যাচার থ্রো মাই লেন্স’ শিরোনামের এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা। গত ১৭ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে প্রতিযোগিতা। জমা পড়া শতাধিক ছবির মধ্য থেকে যাচাই–বাছাই শেষে সেরা ২০টি ছবি নির্বাচিত করা হয়। এতে অংশ নেওয়া সবাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

অনুষ্ঠানে নির্বাচিত ২০টি ছবির আলোকচিত্রীকে সনদ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি সেরা ১০ জনকে হালিমা গ্রুপের পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার প্রদান করা হয়েছে। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক জি এম মনিরুজ্জামান, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তারিন বিনতে এনাম, প্রথম আলোর কুমিল্লা প্রতিনিধি আবদুর রহমান এবং হালিমা গ্রুপের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রূপম কান্তি দাশ। সঞ্চালনা করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক আদনান আলম।

অধ্যাপক জি এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘পরিবেশ ও প্রকৃতি নিয়ে এই ছবির প্রতিযোগিতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। দেখলাম শিক্ষার্থীরা জীবন্ত ছবি তুলেছে মুঠোফোন দিয়েই। ছবির মাধ্যমে শিল্প, প্রকৃতি ও মানুষের কথা প্রকাশ করা যায়। প্রথম আলো বন্ধুসভার এই আয়োজন নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য একটি চমৎকার মুহূর্ত এনে দিয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের আয়োজন যদি আমাদের ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক হয়, তাহলে আরও ভালোভাবে ক্যাম্পাসকে ফুটিয়ে তোলা যাবে। আশাবাদী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাঁরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্য থেকেই কেউ না কেউ জাতীয় পর্যায়ে এ ধরনের প্রতিযোগিতায় সুযোগ পাবেন। ভবিষ্যতের প্রতিযোগিতাগুলো কীভাবে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় এবং অংশগ্রহণ বাড়ানো যায়, সেদিকেও আয়োজকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকবে, এটাই প্রত্যাশা।’

সহকারী অধ্যাপক তারিন বিনতে এনাম বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু পড়াশোনার ক্ষেত্রেই এগিয়ে নয়, বিভিন্ন ভালো কাজেও এগিয়ে রয়েছে। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সবাই মুঠোফোনে ছবি তোলে। অনেক শিক্ষার্থী আছেন, যাঁরা খুবই ভালো ছবি তোলেন। সবার ছবি দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আমার বিশ্বাস, তারা সামনে আরও ভালো করবে।’

সনদ বিতরণ
ছবি: বন্ধুসভা

বন্ধুসভাকে ধন্যবাদ জানিয়ে হালিমা গ্রুপের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রূপম কান্তি দাশ বলেন, ‘আমরা এই আয়োজনে সহযাত্রী হিসেবে থাকতে পেরে আনন্দিত। হালিমা গ্রুপ শিক্ষার্থীসহ দেশের সব শ্রেণির মানুষের কথা চিন্তা করেই প্রযুক্তিগত বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে। বন্ধুসভার এই আয়োজন একটি অনন্য উদ্যোগ। আমাদের চেয়াম্যান স্যার আবুল কালাম হাসান টগর আপনাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আগামীতেও বন্ধুসভার ভালো কাজগুলোর সঙ্গে থাকার চেষ্টা করব।’

প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থন দখল করা তানজিম আহমেদ বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। প্রকৃতির প্রতি আমার বিশেষ একটি আকর্ষণ আছে। আর ফটোগ্রাফি অন্যতম শখ। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে নিজের ভালোবাসার জায়গা প্রকৃতিকে নতুনভাবে উপস্থাপন করার সুযোগ পেয়েছি।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সভাপতি অন্তু চন্দ বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার অপূর্ব সৃষ্টি হলো এই প্রকৃতি। যেভাবেই দেখা হোক না কেন, তার রূপের শেষ নেই। আমরা চেষ্টা করেছি বিভিন্ন ব্যক্তির চোখে প্রকৃতির রূপ ফুটিয়ে তোলার। আশা করব যাতে প্রকৃতির প্রতি সবাই সচেতন হোন এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। এই বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিতে চাই।’

সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা