বৃহস্পতিবার, সকাল থেকে বিষণ্ন প্রকৃতি। কখনো তীব্র রোদ, আবার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। রোদ-বৃষ্টির এই লুকোচুরি খেলার মধ্যেই বিকেলে জমে ওঠে চট্টগ্রাম বন্ধুসভার ফলাহার উৎসব। ৪ জুলাই চট্টগ্রামের ঝাউতলা রেলক্রসিং এলাকার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রতিষ্ঠান হোপ ফাউন্ডেশন বিদ্যালয়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৫০ শিশু অংশ নেয়।
সবার প্লেটে সাজানো ছিল আম, কাঠাল, লটকন, পাইন্নাগোলা, আনারস, জামসহ ৮ ধরনের মৌসুমী ফল। ফলের ঘ্রাণে ম ম করেছে চারপাশ। শুরুতেই শিশুদের জাদু দেখান বন্ধু ফয়সাল হাওলাদার। এরপর ফল খাওয়ার উৎসবে যোগ দেন সবাই।
বন্ধুরা বলেন, ‘শিশুদের জন্য নিজেরা বাজারে গিয়ে এসব ফল বেছে বেছে কিনে আনা হয়েছে। খেয়ে শিশুরা তৃপ্তি পেলেই আমরা খুশি। ওদের মুখের হাসিতেই আমাদের আনন্দ।’
উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে শিশু সোহেল রানা বলে, ‘আমার বাবা রিকশা চালায়। তিনি আমাদের ভালো রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। এই মৌসুমে শুধু আম খেয়েছিলাম। আজকে এতগুলো ফল খেতে পারছি দেখে ভালো লাগতেছে।’
আরেক শিশু রাবেয়া আক্তার জানায়, তার মা অন্যের বাসায় কাজ করে। আর সে হোপ স্কুলে পড়াশোনা এবং পাশাপাশি কাগজ কুড়িয়ে সেগুলো বিক্রি করে সংসারে মাকে সাহায্য করে। বন্ধুসভার ফল উৎসবে আসতে পেরে সে অনেক খুশি।
সভাপতি ইব্রাহীম তানভীর বলেন, ‘ফলাহার উৎসব চট্টগ্রাম বন্ধুসভার নিয়মিত একটি আয়োজন। শিশুদের নিয়েই এটি আয়োজন করি। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও বন্ধুরা নিজেদের হাতখরচের টাকা বা গাড়ি ভাড়া বাঁচিয়ে এই উৎসবের অর্থের জোগান দিয়েছেন।’
উৎসবের সমন্বয়কারী ছিলেন বন্ধু নুরুজ্জামান খান, সাইফুল ইসলাম, সুরাইয়া হোসেন, ঊষা বিনতে হোসাইন, ফয়সাল হাওলাদার, শাওন রায় ও মাসুদ রানা।
সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম বন্ধুসভা