বন্ধুর গান প্রতিযোগিতা ২০২৫-এর চূড়ান্ত পর্বের জন্য ১০ জন প্রতিযোগীকে বাছাই করা হয়েছে। সুর, তাল, লয়, উপস্থাপনা, উচ্চারণ, কণ্ঠ, নিজ গায়কির বাইরে ভিন্ন ধারার গানেও কে কতটা পারদর্শী—এসব বিবেচনায় নিয়ে তাঁদের নির্বাচন করেছেন বিচারকেরা।
১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে এই বিচারকার্য সম্পন্ন হয়। বিচারক হিসেবে ছিলেন শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটির চারুকলা ও অভিনয় শিল্প অনুষদের ডিন এবং সংগীত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপক প্রদীপ কুমার নন্দী, চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ-২০০৮ বিজয়ী কণ্ঠশিল্পী জানিতা আহমেদ ঝিলিক এবং ছায়ানট শিল্পী ও ছায়াবীথি সংগীত প্রশিক্ষক তাপসী রায়।
প্রথমবারের মতো সারা দেশের বন্ধুদের নিয়ে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতা ব্যাপক সাড়া ফেলে। প্রথম ধাপে প্রায় ১০০ প্রতিযোগী খালি গলায় গান রেকর্ড করে পাঠিয়েছিলেন। সেখান থেকে নির্বাচিত ৩০ জনকে দ্বিতীয় ধাপে বাদ্যযন্ত্রসহ গান রেকর্ড করে গেয়ে পাঠাতে বলা হয়। যাচাই–বাছাই শেষে তৃতীয় ধাপের জন্য নির্বাচিত হন ১৬ প্রতিযোগী। তাঁদের গাইতে বলা হয়েছে আগেই পাঠানো গানের ধরন থেকে ভিন্ন ধারার গান, বাদ্যযন্ত্রসহ। বিচারকেরা নির্ধারণ করে দেন কে কোন গান গাইবেন। তাঁদের মধ্য থেকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য ১০ জনকে বাছাই করা হলো।
বন্ধুর গান প্রতিযোগিতা ২০২৫ বাস্তবায়নে যুক্ত রয়েছেন বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডা. পৌলমী অদিতি, কার্যনির্বাহী সদস্য সংগীতশিল্পী হৃদয় সৈকত, ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সাংগঠনিক সম্পাদক অনিক সরকার ও দপ্তর সম্পাদক মেঘা খেতান। উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন জাতীয় পর্ষদের সহসভাপতি মাহবুব পারভেজ। তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি সারা দেশের সব বন্ধুসভা থেকে শিল্পীবন্ধু খুঁজে বের করতে। বন্ধুরাও অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছেন। তাঁদের অংশগ্রহণ ও উৎসাহে আয়োজন হয়ে উঠেছে আরও প্রাণবন্ত।’
কণ্ঠশিল্পী জানিতা আহমেদ ঝিলিক বলেন, গানের যেকোনো আয়োজনই ভালো লাগে। বন্ধুসভার এই আয়োজনের অংশ হতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।
চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগীদের নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে মূল প্রতিযোগিতা। যন্ত্রীদল ও শিল্পীবন্ধুদের ঢাকায় দুই দিন, দুই রাত অবস্থানের জন্য আয়োজকদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হবে। প্রথম দিন অনুশীলনের পর দ্বিতীয় দিন মূল প্রতিযোগিতা হবে। চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী তিন প্রতিযোগীকে আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করা হবে। এ ছাড়া সেরা ১০ জনের জন্যও থাকবে আকর্ষণীয় পুরস্কার।
চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছেন যাঁরা
দিনাজপুরের অপূর্ব রায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাল্গুনী ভট্টাচার্য্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজওয়ানুল কবির তালুকদার, নোয়াখালীর সিমান্ত কুরী বিজয় ও প্রান্ত চন্দ্র শীল, সিরাজগঞ্জের দূর্জয় কুমার সরকার, সাভারের সরকার একান্ত ঐতিহ্য, রাজশাহীর নাহিদ হাসান, চট্টগ্রামের দেবমিতা নন্দী এবং জামালপুর বন্ধুসভার সাদিকুর রহমান।