কুয়াকাটা ম্যারাথনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যুক্ত হলো বন্ধুসভা

আয়োজন সফল করতে কলাপাড়া ও কুয়াকাটা বন্ধুসভার প্রস্তুতি সভাছবি: বন্ধুসভা

পটুয়াখালীর সাগরকন্যা হিসেবে পরিচিত কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ‘বিচ হাফ ম্যারাথন ২০২৪’ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১ মার্চ, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৬টায় সমুদ্রসৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে হাফ ম্যারাথন শুরু হয়ে সৈকতের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত অতিক্রম করে আবার জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হবে।

সাগরকন্যাখ্যাত বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সমুদ্রসৈকত ও পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় এটির আয়োজন করছে বাংলায় বিজ্ঞানচর্চা ও বিকাশের অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কসমিক কালচার ট্রাস্ট। ম্যারাথনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবেন কলাপাড়া ও কুয়াকাটা বন্ধুসভার বন্ধুরা।

এর আগে কসমিক কালচার ট্রাস্টের উদ্যোগে ২০২০ সালে বরিশাল শহরে প্রথমবার ম্যারাথন আয়োজন করা হয় এবং দ্বিতীয় ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয় ২০২২ সালে। যার ব্যবস্থাপনা ও গুণগত বিচারে দেশের রানারদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছিল। বিগত দুটি আয়োজনের ধারাবাহিকতায় বরিশাল ম্যারাথনের তৃতীয় আয়োজন হচ্ছে কুয়াকাটায়।

কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ‘বিচ হাফ ম্যারাথন ২০২৪’

এ ম্যারাথন ইভেন্টের মাধ্যমে পর্যটন বিকাশের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতেও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘সকলের অংশগ্রহণ, হ্রাস করবে প্লাস্টিক দূষণ’।

ম্যারাথনে সার্বিক সহযোগিতা করছে পটুয়াখালী জেলা ও কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন, কুয়াকাটা পর্যটন পুলিশ ও বরিশাল সাইক্লিস্ট অ্যাসোসিয়েশন।

এদিকে আয়োজন সফল করতে এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার প্রস্তুতি সভা করেছে কলাপাড়া ও কুয়াকাটা বন্ধুসভা। সভায় উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া বন্ধুসভার সভাপতি মোস্তফা জামান, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কুয়াকাটা বন্ধুসভার সভাপতি ইলিয়াস হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ হোসেনসহ অন্য বন্ধুরা।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ ম্যারাথনে অংশগ্রহণের জন্য অনেকেই নিবন্ধন করেছে বলে শুনেছি। আগতরা সবাই আমাদের অতিথি। তাঁদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। তা ছাড়া সৈকত এলাকায় ম্যারাথন অনুষ্ঠান নির্বিঘ্ন করতেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবকিছু করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন আয়োজন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটাকে আবারও বিশ্ব দরবারে পরিচিত করবে। কুয়াকাটার প্রতিও দেশ-বিদেশের মানুষের আকর্ষণ বহুগুণে বাড়বে।’