বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে নোয়াখালী বন্ধুসভার ব্যতিক্রমী আয়োজন
রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। হঠাৎ দেখলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আপনার পাশে! তখন কী করবেন? বন্ধুদের কল্পনার জগতে নিতে তাঁদের এ প্রশ্নটি করা হয় নোয়াখালী বন্ধুসভার বিশ্বকাপ আড্ডায়। সবাই মজার সব উত্তর দেন।
ভারতের মাটিতে চলছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৩। এটিকে ঘিরে ২০ অক্টোবর বিকেলে প্রথম আলোর নোয়াখালী অফিসে বন্ধুরা আয়োজন করেন বিশ্বকাপ আড্ডার। ব্যতিক্রমী আয়োজনটি বেশ জমে ওঠে।
আলোচনায় ওঠে আসে বাংলাদেশ দলের কথাও। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ জয় দিয়ে দুর্দান্ত শুরু করলেও পরের তিনটি ম্যাচ হেরে যায় লাল-সবুজের পতাকাধারীরা। অর্থ সম্পাদক উম্মে ফারিন বলেন, ‘ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালকে মিস করছি। তিনি থাকলে আরও অভিজ্ঞ একটা দল হতো।’ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানরা আশা করি ঘুরে দাঁড়াবে। ভালো রান করবে। তাহলে পরের ম্যাচগুলো জেতার সম্ভাবনা বাড়বে।’
বন্ধু নাফিস আহমেদ বলেন, ‘আশা করি বাংলাদেশ পরের পাঁচটা ম্যাচের চারটাই জিতবে।’ দপ্তর সম্পাদক আবদুর রহিম বাংলাদেশ দলের বর্তমান অবস্থা ও বাকি দলগুলোর বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিশ্লেষণ করেন। তিনি বলেন, ‘এবার সেমিফাইনাল খেলার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা ভারত, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার। অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানেরও সম্ভাবনা আছে। সবচেয়ে খুশি হব বাংলাদেশ খেললে।’
আড্ডায় বন্ধুরা একে একে ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে মজার সব স্মৃতি বর্ণনা করেন। সাধারণ সম্পাদক আসিফ আহমেদ বলেন, ‘স্কুলে পড়ার সময়ে খেলা দেখার মজা অন্য রকম ছিল। বাংলাদেশের খেলা যেদিন থাকত, ওই দিন বন্ধুরা মিলে স্যারদের কাছে দরখাস্ত দিয়ে দুই-তিন ক্লাস পর ছুটি আদায় করে নিতাম। বাংলাদেশের খেলা মানেই বাড়তি উন্মাদনা। যেন ওই দিন খেলা দেখা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই!’
বাংলাদেশ হারুক কিংবা জিতুক, সব সময় সমর্থন করার কথা ব্যক্ত করেন বন্ধুরা। সর্বশেষে বাংলাদেশ দলকে শুভকামনা জানিয়ে শেষ হয় আয়োজন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা সুমন নূর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ হোসেন, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক তাজকির হোসেন, বন্ধু আরাফাত শিহাব, নাহিদা ইতু, সানি তামজিদসহ অন্যরা।
সাধারণ সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা