চলো মাতি পিঠার গানে

পিঠা উৎসবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার স্টলছবি: বন্ধুসভা

‘নতুন ধানে, নতুন প্রাণে, চলো মাতি পিঠার গানে’ প্রতিপাদ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘পিঠা উৎসব-২০২৪’। বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের অধীন ৫ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এটি অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক জোটের সদস্যসংগঠনের মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা, অঙ্গন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চ ও আমন্ত্রিত সংগঠন ভিন্নষড়জ।

উৎসবে শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে বানানো নানা রকম পিঠার পাশাপাশি বিকেল ও সন্ধ্যায় ছিল শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক আয়োজন। সকাল নয়টায় শুরু হওয়া উৎসবে অতিথি হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও চবি বন্ধুসভার উপদেষ্টারা।

দিনব্যাপী উৎসবের প্রতিটি স্টলেই ছিল শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। চবি বন্ধুসভার স্টলে ২০ থেকে ২৫ রকমের পিঠার সমাহার রাখা হয়। পাকন পিঠা, পুলি পিঠা, সূর্যমুখী পিঠা, নকশি পিঠা, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, দুধপুলি, নলেন গুড়ের পায়েস, দুধচিতই, সেমাই পিঠা, চুটকি পিঠা, পাকন পিঠা, ক্ষীরের পাটিসাপটা, নারকেলের পাটিসাপটা, হাতঝাড়া পিঠা, গোলাপ পিঠা, জামাই পিঠা, গাজরের হালুয়া, শামুক পিঠা, মুঠো পিঠা, হাতঝালি পিঠাসহ অসংখ্য পিঠায় সাজানো ছিল স্টলগুলো।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার স্টলে পিঠাপ্রেমীদের ভিড়
ছবি: বন্ধুসভা

বন্ধুসভার স্টলে প্লাস্টিকের ব্যবহার সীমিত রেখে পিঠাপ্রেমীদের সব ধরনের পিঠা কলাপাতায় পরিবেশন করা হয়। পাশাপাশি বন্ধুরা চেষ্টা করেছেন স্টলটিকে বরাবরের মতো বাঙালি ধাঁচে তৈরি করতে।

চবি বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক নুসরাত পাইরিন বলেন, ‘নিজ বাড়ি থেকে দূরে যেসব শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে রয়েছে, তারা পিঠা উৎসবের মাধ্যমে বাড়িতে বানানো পিঠার স্বাদ নিতে পেরেছে। সেই সঙ্গে নানা অঞ্চলের পিঠা সম্পর্কেও জানতে পেরেছে।’

সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আকরাম বলেন, ২০১৭ সাল থেকে সাংস্কৃতিক জোট কাজ করে আসছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। জোটের অন্যতম সদস্য প্রথম আলো বন্ধুসভা প্রতিবারের মতো এবারও পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে। বন্ধুসভার অন্তত ৫০ জন বন্ধু এ কাজে অংশ নিয়েছেন। সকালে বাঙালি সংস্কৃতির পিঠার স্বাদ দিয়ে পিঠা উৎসব শুরু করে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে উৎসব শেষ হয়।

সহসভাপতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা