পুঁথিপাঠ, যাত্রা, পালাগান, কবির লড়াই, গাজন, কীর্তন ইত্যাদি আবহমানকাল থেকে ছিল বাঙালির প্রধান বিনোদনের মাধ্যম। যাত্রাপালায় তখন রূপবানের জয়জয়াকার। দল বেঁধে ‘রূপবান’ দেখতে যেত মানুষ। এই গল্প সিনেমার পর্দায় আনলেন সালাহ্উদ্দিন।
পূর্ব পাকিস্তান আমলে ‘রূপবান’ নামের যাত্রাপালা খুব সুনাম অর্জন করে। এত পুরোনো চলচ্চিত্রের ইতিহাস, লোকগীতি বা রূপবান নামটিই একেবারে হারানোর পথে। চট্টগ্রাম বন্ধুসভা সর্বদা চেষ্টা করে নিজেদের সংস্কৃতিকে ধারণ করতে। সেই ইতিহাস, সংস্কৃতির সঙ্গে বন্ধুসভার বন্ধুদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য প্রথম আলোর চট্টগ্রাম অফিসে ১৯ জানুয়ারি প্রদর্শিত হয় ‘রূপবান’ চলচ্চিত্রটি। প্রদর্শনী শেষে চলচ্চিত্রের ওপর ভিত্তি করে কুইজ প্রতিযোগিতা হয়। এতে অংশ নেন উপস্থিত বন্ধুরা।
কুইজে বিজয়ী হয়েছেন জান্নাতুল মাওয়া, রফিকুল ইসলাম ও বহ্নি শিখা। বন্ধু রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কালের প্রবাহে আমাদের অনেক কৃষ্টি ও সংস্কৃতি হারানোর পথে। সে রকম একটা সময়ে এমন লোককাহিনিনির্ভর চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলার আবহমান সংস্কৃতিকে ভিন্ন ধারায় জিইয়ে রাখার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা প্রশংসার দাবিদার। এই চলচ্চিত্র উৎসবে নিজেকে শামিল করতে পেরে সৌভাগ্যবান মনে করছি।’
অনুষ্ঠানের মূল সমন্বয়কারী ছিলেন রাহিম মাহমুদ চৌধুরী এবং সহসমন্বয়কারী ছিলেন অর্পিতা দেবী ও কৌশিক দাশ।
সহসাংগঠনিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম বন্ধুসভা