জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগরা ইউনিয়নের কাপাশ হাটিয়া গ্রামে অবস্থিত মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘরটি জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণার জায়গা হিসেবেও বিবেচিত। একসময় প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল গান্ধী আশ্রম, যার পরিবর্তিত নাম মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘর। সেখানে আলোকচিত্র, স্মৃতিচিহ্ন আর সরঞ্জামের মাধ্যমে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। ইতিহাসের দুর্লভ সব স্মৃতিচিহ্ন দেখতে ২০ ডিসেম্বর জামালপুর বন্ধুসভার বন্ধুরা গিয়েছিলেন জাদুঘরটিতে। চড়ুইভাতিরও আয়োজন করা হয়।
এদিন সকাল ১০টায় বন্ধুরা জামালপুর শহরের পাঁচরাস্তার মোড়ে একত্র হয়ে অটোতে করে মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘরের উদ্দেশে রওনা দেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর তাঁরা গন্তব্যে পৌঁছান। শুরুতেই সবাই মিলে জাদুঘরটি ঘুরে দেখেন। তারপর নিজেরাই দুপুরের খাবার রান্নার কাজে নেমে পড়েন। রান্নার পাশাপাশি চলে বন্ধুদের আনন্দ আড্ডা ও নানা খেলাধুলা।
দুপুরের খাওয়া শেষে শুরু হয় র্যাফল ড্র ও পুরস্কার বিতরণ। জাদুঘরের বাইরের দিকটাও বন্ধুরা ঘুরে দেখেন ও শর্ষে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করেন।
চড়ুইভাতিতে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি সিফাত আবদুল্লাহ, সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাভী সেকান্দার আলম, আরিফ হোসেন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া জাকি, দপ্তর সম্পাদক সানি সিরাজ, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ হিজবুল্লাহ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক তাহমিদ সাইফুল্লাহ, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক ফারিয়াজ ফাহিম, বইমেলা সম্পাদক রুবেল হাসান, কার্যনির্বাহী সদস্য রাকিবুর রহমান, বন্ধু যুবরাজ, তায়েবা, আকাশ, অয়ন, স্নিগ্ধা, সুমাইয়া, কামরুল, কাঁকন, তন্ময়, সুমন, দিশা, সারাহ, মোস্তাকিম, মাসুমসহ অন্যরা।
সভাপতি, জামালপুর বন্ধুসভা