গতকাল শুক্রবার রাজধানীর শুক্রাবাদ, ধানমন্ডি লেক ও এর আশপাশের এলাকায় বন্ধুরা শীতে জরাজীর্ণ ও দুস্থ মানুষের মধ্যে ২০০টির বেশি কম্বল, ৫০টি শাল, ৫০টি কানটুপিসহ ভ্যাসলিন ও বিভিন্ন শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। ৬০ বছরের বৃদ্ধা ফতেহা বিবি বলেন, ‘চাদর পাইয়া খুশি হইছি বাবা। নামাজ পইড়া দোয়া করমু। তোমাগো আল্লাহ বাছাইয়া রাখুক।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক বৃদ্ধা বলেন, ‘আমরা রাস্তায় থাকি, আফনারা কম্বলডা দিছেন ভালো হইছে, বাইচ্চা লইয়া শীতের রাইতে ঘুমাইতে পারমু। এত দিন আমরা ছিঁড়া, পুরান কাপড় বিছাইয়া রইছি। অহন আফনারো উছিলায় আমরা কম্বলডা পাইছি।’

সমাজ ব্যতীত মানুষ একাকী বাঁচতে পারে না। সমাজে সবার সঙ্গে মিলেমিশে বাঁচতে হয়। সব মানুষ যখন একে অপরের জন্য একটু একটু করে এগিয়ে আসেন, তখনই তৈরি হয় একটি সুন্দর ও সুখী সমাজ। যেখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা নিজেদের সাধ্যমতো সেই ভেদাভেদ দূর করার প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সন্ধ্যার পর ২২ জন উদ্যমী বন্ধু বেরিয়ে পড়েন শীতার্ত মানুষের কাছে উষ্ণতার উপহার পৌঁছে দিতে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে শুরু করে রাত ১০টা পর্যন্ত শুক্রাবাদ, ধানমন্ডি লেক ও এর আশপাশের এলাকা ঘুরে ঘুরে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তাঁরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার উপদেষ্টা মাহবুব পারভেজ। তিনি বলেন, ‘সারা দেশে শীতের তীব্রতা বেড়েছে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বইছে শৈত্যপ্রবাহ। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগব্যাধি। এই সময় সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য সবাই মিলে এগিয়ে আসতে হবে। একসঙ্গে এগিয়ে এলেই সমাজে ফিরবে সুখ ও আনন্দ।’

বন্ধুদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সাবেক সহসভাপতি তাহসিন আহমেদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান, সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সহসভাপতি ফারিহা মাহমুদ, রিয়ান আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অনিক সরকার, অর্থ সম্পাদক শাহরিয়ার মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক ফারহান ইসরাক, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা হাওলাদার, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক অভিক হাসান, কার্যনির্বাহী সদস্য তমাল মালাকার, বন্ধু তুষার বর্মন, অয়ন, সজল সাদ্দাম, শিহানা সাওদা, ইমতিয়াজ ওমর, নাহিদ হাসান ও মেঘা খেতান।

বন্ধু, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা