দিনাজপুর জেলা শহরের ঢাকাইয়াপট্টি এলাকার বাসিন্দা আমেনা বেগম (৪০)। স্বামী পরিত্যক্ত, দুই সন্তানের জননী। কিছুদিন আগেও জেলা সিভিল সার্জন অফিসের দেয়াল ঘেঁষে ফুটপাতে চা-পানের দোকান করে সংসার চালাতেন। সম্প্রতি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ কর্মসূচিতে আমেনার দোকানটিও ভেঙে ফেলা হয়। এতে আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনটনের মধ্যে লড়াই করছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে আমেনা বেগমের জীবনে নেমে আসে অনিশ্চয়তার অন্ধকার। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে দিনাজপুর বন্ধুসভা।
বন্ধুসভার বন্ধু ও উপদেষ্টাদের অর্থসহায়তায় আমেনা বেগমের জন্য একটি ভ্রাম্যমাণ দোকান তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। গত ২৫ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর হাতে দোকানটি হস্তান্তর করা হয়। দোকান পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে আমেন বেগম বলেন, ‘এই বিপদের দিনোত তোরা মোর পাশোত দাঁড়ালেন। দোকানটা পাইয়া মোর খুব ভালো হইল। কয়েক দিন থাকি খুব অভাবত ছিনু। তোমরা মোক দোকানটা দিলেন, মুই এটার ঠিকমতো যত্ন নিয়া ব্যবসাটা করি সংসারটা চালাবা পারিম।’
এ বিষয়ে প্রথম আলো দিনাজপুর প্রতিনিধি রাজিউল ইসলাম বলেন, ‘আমেনা বেগম পরিশ্রমী। আমরা শুধু তাঁর পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। তিনি যেন অসহায় বোধ না করেন এবং দোকানটি পরিচালনা করে হেঁটে যেতে পারেন জীবনের পথে। বাঁচতে পারেন আত্মমর্যাদার সঙ্গে। সমাজ তখনই বদলাবে, যখন আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়াতে শিখব।’
দিনাজপুর বন্ধুসভার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা শুধু আমেনা বেগমকে সাহস জোগানোর কাজটি করেছি। তিনি দোকানটি পরিচালনা করে ভালো থাকলে সেটিই আমাদের সফলতা। বন্ধুসভার মাধ্যমে এমন মানবিক কাজে পাশে থাকতে পেরে আনন্দ বোধ করি।’
দোকান হস্তান্তর করার সময় উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর বন্ধুসভার সহসভাপতি আরিয়ানা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চন্দ্র অধিকারী ও অন্য বন্ধুরা।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, দিনাজপুর বন্ধুসভা