নরসিংদীতে মানববন্ধনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি

মানববন্ধনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিছবি: বন্ধুসভা

প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের মুক্তি, সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে নরসিংদীতে মানববন্ধন পালিত হয়েছে। গতকাল বিকেল চারটার দিকে নরসিংদী সরকারি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন করে নরসিংদী বন্ধুসভা।

বন্ধুসভার বন্ধুদের পাশাপাশি মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য, কলেজশিক্ষার্থী ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মুক্তধারা নাট্য সম্প্রদায়ের সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ, নরসিংদীর পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি মঈনুল ইসলাম, ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম, নরসিংদী বন্ধুসভার সভাপতি প্রলয় জামান, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক জিয়াউল হক, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক আলমগীর হোসাইন, কার্যকরী সদস্য মো. আল আমিন, কাউসার মাহমুদ ও প্রথম আলোর প্রতিনিধি প্রণব কুমার দেবনাথ।

মুক্তধারা নাট্য সম্প্রদায়ের সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বলেন, ‘বাজারে চাল, ডাল, তেল, মাছ, মাংস, ডিম—সবকিছুর দামই ক্রমাগত বাড়ছে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির খবর তুলে ধরায় রাতের আঁধারে সাংবাদিককে তুলে আনতে হবে কেন? সারা দেশে একের পর এক সাংবাদিক-সাধারণ মানুষ এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হচ্ছেন। অনতিবিলম্বে আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চাই।’

নরসিংদীর পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথম আলোর কারাবন্দী সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি চাই। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ এই কালো আইনে যত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সব মামলা প্রত্যাহার চাই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আর একজনও গ্রেপ্তার হোক, চাই না।’

ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সংবাদ প্রকাশের পর কেউ সংক্ষুব্ধ হলে প্রেস কাউন্সিলে মামলা করার সুযোগ আছে। তারপরও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। রাতের অন্ধকারে একজন সাংবাদিককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার ঘটনা দেশে আইনের শাসনের পরিপন্থী। এ আইন বাতিল করতে হবে।’

নরসিংদী বন্ধুসভার সভাপতি প্রলয় জামান বলেন, ‘সাভারের সাংবাদিক শামসুজ্জামান ও প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা পুরোপুরি হয়রানিমূলক। এভাবে চলতে থাকলে একসময় দেশে প্রকৃত সাংবাদিকতাই থাকবে না। সাংবাদিকদের সুস্থ পরিবেশে কাজ করার সুযোগ তৈরি করতে এই কালো আইন এখনই বাতিল করতে হবে।’

সাধারণ সম্পাদক, নরসিংদী বন্ধুসভা