ঘরে বন্যার পানি ঢুকে আসবাবপত্রসহ গৃহবধূ রেহানা আক্তারের পরিবারের সবার জামাকাপড়ও নষ্ট হয়ে যায়। নোয়াখালী সদর উপজেলার বন্যাদুর্গত কাদির হানিফ ইউনিয়নের এই বাসিন্দা জানান, অবস্থা এমন হয় যে নতুন পোশাক কেনার টাকাও শেষ হয় যায়। চাল, ডাল, চিড়া ও মুড়ি অনেকে দিয়েছে। তবে পোশাক দেয়নি কেউ। নোয়াখালী বন্ধুসভার বন্ধুদের কাছ থেকে নতুন জামা উপহার পেয়ে রেহানা আক্তার খুশি হয়ে বলেন, ‘এই প্রথম কাপড় পেলাম। নতুন কাপড়ে বাচ্চাদের মুখে হাসি ফুটবে।’
গত মাসের শেষ দিকে পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোয় সৃষ্ট বন্যার শুরু থেকেই বানভাসি মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসে প্রথম আলো বন্ধুসভা ও প্রথম আলো ট্রাস্ট। কখনো ত্রাণসামগ্রী, কখনো ওষুধ, রান্না করা খাবার, আবার কখনো পরিধানের জন্য নতুন পোশাক পৌঁছে দেওয়া হয়। এ কাজগুলো বাস্তবায়ন করেছেন স্থানীয় বন্ধুসভার বন্ধুরা। বন্যার্ত মানুষের জন্য বিনা মূল্যে বেশ কয়েকটি মেডিকেল ক্যাম্পও করা হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ফ্যাশন হাউস লা রিভের সৌজন্যে ৬ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলার আড়াই হাজারের বেশি মানুষের কাছে নতুন জামাকাপড় পৌঁছে দিয়েছেন নোয়াখালী বন্ধুসভার বন্ধুরা।
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ১ নম্বর নরোত্তমপুর ইউনিয়নের দরাপনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে ৪৫০ জনকে দিয়ে শুরু হয় এ কার্যক্রম। পরবর্তী সময়ে বেগমগঞ্জের আলীপুরে ৪৫০ জন, সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ হুগলীতে ৬৫০ জন, সদর উপজেলার ৪ নম্বর কাদির হানিফে ৩০০ জন, জিরতলী ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয় ও করমল্যাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে ৬৫০ জন এবং বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের বড় মেহেদীপুরে ৪০০ মানুষকে নতুন পোশাক দেওয়া হয়েছে।
এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন নোয়াখালী বন্ধুসভার সভাপতি আসিফ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ফারহিন রিমু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহিম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক তাজকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শিমুল, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক আফরিনা ইসলাম, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহিদা ইসলাম, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক আরাফাত শিহাব, দপ্তর সম্পাদক ধ্রুব ভূঁইয়া, অর্থ সম্পাদক মাজরিহাতুন স্বর্ণা, বন্ধু ইমতিয়াজ দোলন, নুসরাত ফারিন, করবী দাস, উপদেষ্টা লায়লা পারভীন, কামাল হোসেন, সুমন নূরসহ অন্য বন্ধুরা।
প্রচার সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা