নোয়াখালী বন্ধুসভার পাঠচক্রে ‘মরণের ডঙ্কা বাজে’
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মরণের ডঙ্কা বাজে’ উপন্যাসের উপজীব্য বিষয় হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পূর্ববর্তী সময়ে চীনের জনগণের ওপর জাপানিদের আক্রমণ। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বইটি নিয়ে পাঠচক্রের আসর করে নোয়াখালী বন্ধুসভা। প্রথম আলো নোয়াখালী আঞ্চলিক অফিসে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
পরিচয় পর্ব শেষে দপ্তর সম্পাদক নয়ন চন্দ্র কুরী বইটির বিষয়বস্তুর কথা তুলে ধরে বলেন, বইয়ে উল্লেখিত এলেস, মিনি, বিমল সুরেশ্বর ও প্রফেসর লির মানবিকতা তাঁকে মুগ্ধ করেছে। বইয়ের কিছু অংশ পড়েন সাধারণ সম্পাদক মো. শিমুলসহ উপস্থিত অন্য বন্ধুরা।
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক শাহিদা রেশমি বলেন, দুই ভারতীয় বেকার তরুণ বিমল ও সুরেশ্বর কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুর গিয়ে জাপানি হামলায় আহত চীনের জনগণের সেবায় নিয়োজিত হওয়ার আমন্ত্রণ লাভ করে। জীবনের ঝুঁকি সত্ত্বেও তারা এই আমন্ত্রণে সাড়া দেয় মূলত তারুণ্যের চ্যালেঞ্জ গ্রহণের উৎসাহে ও নতুন দেশ ভ্রমণের আগ্রহে। কিন্তু রণক্ষেত্রে গিয়ে যে পরিস্থিতির শিকার তারা হয়, তা যেমন ভয়াবহ, তেমনই কল্পনাতীত এবং উপন্যাসের পরিসমাপ্তি অংশের ব্যঞ্জনাও লক্ষণীয়।
পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন সভাপতি উম্মে ফারহিন, যুগ্ম সম্পাদক তাজকির হোসেন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত শিহাব, বইমেলা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বন্ধু আসিফসহ অন্য বন্ধুরা।