বৈচিত্র্যপূর্ণ ফলের সমাহার নিয়ে ফলাহার উৎসব

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার ফলাহার উৎসবছবি: বন্ধুসভা

‘ফুল কহে ফুকারিয়া, ফল, ওরে ফল, কত দূরে রয়েছিস বল্ মোরে বল্। ফল কহে, মহাশয়, কেন হাঁকাহাঁকি, তোমারি অন্তরে আমি নিরন্তর থাকি।’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ কবিতার মতোই ফল মানুষের হৃদয়ে অবস্থান করে। পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকেই ফল মানুষের ক্ষুধা নিবৃত্তি করে আসছে। সময়ের বিবর্তনে আমাদের দেশেও নানা প্রজাতির হরেক রকমের দেশি-বিদেশি ফলের সমাহার রয়েছে।

ষড়ঋতুর বাংলাদেশে বছরের এই সময়টাতে মৌসুমি ফলের পরিমাণ থাকে অন্যান্য সময়ের চেয়ে কিছুটা বেশি। প্রতিবছরের মতো এ বছরও ফল খাওয়ার উপকারিতা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা আয়োজন করেছে ফল উৎসব। ৯ জুলাই এটি অনুষ্ঠিত হয়।

আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, ড্রাগনসহ হরেক রকমের ফলের সমাহার দিয়ে স্বাগত জানানো হয় অভ্যাগতদের। আলোচনা পর্বের পরপরই সবাই ফল খাওয়ায় মেতে ওঠেন। কারও পছন্দ আম তো, কেউ মনের সুখে পেয়ারা খাচ্ছেন, আবার কেউ কাঁঠাল মুখে পুরছেন; ফাঁকে ফাঁকে চলে আনন্দ আড্ডা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার ফলাহার উৎসব
ছবি: বন্ধুসভা

ফলাহার শেষে গানের আড্ডায় মেতে ওঠেন সবাই। গান পরিবেশন করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফিয়া আঞ্জুম স্মিতা ও ফাল্গুনী ভট্টাচার্য, অর্থ সম্পাদক ডি কে উৎস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আহনাফ আহমেদ ও কার্যকরী সদস্য বিনয় সূত্রধর।

অনুভূতি প্রকাশ করে বন্ধু রুদ্র ফারাবি বলেন, ‘বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ একটি প্রচলিত প্রবাদ। এই ফল উৎসবও তারই ধারাবাহিকতায় উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। বন্ধুসভার এমন চমৎকার আয়োজন ক্যাম্পাসে তরুণদের বৈচিত্র্যময় মননে ভাবনার খোরাক জোগায়। দেশি ফল নিয়ে তাঁদের উৎসাহী করে তোলে, আগ্রহী করে খেতে।’

উৎসবে প্রাক্তনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বন্ধু মাইদুল মোর্শেদ, আদিত্য গোস্বামী ও রুদ্র ফারাবি। উৎসবের আহ্বায়ক ছিলেন বন্ধু ইজাজ বিন হোসাইন, সহ–আহ্বায়ক রওশন আরা রব ও তাসলিমা আক্তার এবং সদস্যসচিব ছিলেন সাধারণ সম্পাদক নুসরাত পাইরিন।

প্রচার সম্পাদক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা