১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই গাজীপুরের কাপাসিয়ার প্রত্যন্ত দরদরিয়া গ্রামে জন্ম নেওয়া তাজউদ্দীন আহমদ ছোটবেলা থেকেই ছিলেন প্রচণ্ড মেধাবী। মাধ্যমিকে তিনি দ্বাদশ ও উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থ স্থান লাভ করেন। ১৯৫৩ সালে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। ১৯৬৬ সালে হন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। একুশে ফেব্রুয়ারি গানের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী একবার বলেছিলেন, ‘সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর শেখ মুজিবুর রহমানের পেছনে প্রকৃত বুদ্ধিদাতা ও কর্মী পুরুষ তাজউদ্দীন।’
১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জীবনী নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘর প্রাঙ্গণে এটি অনুষ্ঠিত হয়। সঞ্চালনা করেন কার্যনির্বাহী সদস্য আইয়ুবুর রহমান। তিনি বলেন, তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন পরিশুদ্ধ চিন্তাবোধ, রাজনৈতিক দূরদর্শী, অসম্ভব মেধাবী একজন নেতা।
তাজউদ্দীন আহমদের জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন বন্ধুরা। সাংগঠনিক সম্পাদক আমিন উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমানের এ সময়ে তাজউদ্দীন চর্চা খুবই জরুরি।’ সাধারণ সম্পাদক আদিত্য গোস্বামী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান আলোচনা ও প্রশ্নের উত্তর দেন। পাঠচক্রে উঠে আসে তাজউদ্দীনের ছেলেবেলা, বেড়ে ওঠা, রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব ও পরে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন।
সবশেষে তাজউদ্দীন আহমদের জীবন ও কর্মের ওপর কুইজ আয়োজন করা হয়। এতে তিনজন বন্ধুকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
কার্যনির্বাহী সদস্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা