১৮ জুন থেকে হাওরে পানি বাড়তে শুরু করে। দুই দিনের মধ্যে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যায় রূপ নেয়। তখন থেকেই বন্যার্তদের সহায়তায় কাজ শুরু করে দেয় কিশোরগঞ্জ বন্ধুসভা। ১৯ জুন সুনামগঞ্জে বন্যায় আটকে থাকা ৪০ জন ট্যুরিস্টকে উদ্ধারকৃত নৌকা চামড়াঘাট এসে পৌঁছায়। এ সময় তাঁদের খাবার সরবরাহ ও পরবর্তী গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেন বন্ধুরা।
২২ জুন মিঠামইনের ঢাকী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রথম ধাপে প্রায় অর্ধশত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন বন্ধুরা। ত্রাণের মধ্যে ছিল শুকনা খাবার ও ওষুধ। খাদ্যসহায়তা পেয়ে খুবই খুশি বন্যার্তরা। জমিলা খাতুন নামের এক নারী বলেন, ‘ঘরে হাডুপানি, ধান-চাউল সব ভাসাইয়া লইয়া গেছে, খুব কষ্টে আছি।’ আলাল উদ্দিনের বাড়ি ঢাকীর মামুদপুর হাওরের মাঝখানে। আশপাশে শুধু পানি আর পানি। বন্ধুসভার পক্ষ থেকে ত্রাণ পেয়ে তাঁর আনন্দের যেন শেষ নেই।
বন্ধুসভার বন্ধুরা কাঁধে ত্রাণের বস্তা নিয়ে কোমরসমান পানি দিয়ে হেঁটে সেগুলো পৌঁছে দেন অসহায় ব্যক্তিদের মধ্যে। তাঁরা এতটাই খুশি হন যে কয়েকজন বৃদ্ধা বন্ধুদের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেন।
লেখা: সাধারণ সম্পাদক, প্রথম আলো বন্ধুসভা কিশোরগঞ্জ