ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজসভার নতুন জামা বিতরণ

এ বছরও ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ বন্ধুসভা আয়োজন করেছিল দুস্থ অসহায় শিশুদের জন্য ‘একটি করে রঙিন জামা’ কর্মসূচির। এ সময় এ আয়োজনটার জন্য মুখিয়ে থাকেন বন্ধুসভার প্রতিটি বন্ধু। কেননা এ যে নিষ্পাপ শিশুদের নির্মল আনন্দযজ্ঞ।
ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ বন্ধুসভার বন্ধুরা ৩০ মে বিকেলে উপস্থিত হন কলেজ প্রাঙ্গণে।
উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি ফারজানা হোসাইন হ্যানী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর সরকার, উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আশরাফ শিকদার আকাশ, বর্তমান সভাপতি পৌলমী অদিতি অন্তরা এবং সদস্য মহিব্বুর রহমান সাব্বির, নাসিম মাহমুদ রাফিসহ অনেকে।

সবাই মিলে একসঙ্গে বের হয়ে গেলাম শিশুদের মাঝে আনন্দ বিলি করতে। আগেই সবাই মিলে ঠিক করেছিলাম মহাখালী রেলগেট সংলগ্ন বস্তিতে বাচ্চাদের জামা দেব। সে অনুযায়ী রাস্তায় বের হতেই ফুটপাথে দেখলাম কতগুলো ফুটফুটে শিশু। হাতেপায়ে ধুলাময়লা, গায়ে নেই কোনো জামা। নতুন জামা গায়ে পরিয়ে দিতেই তাদের সে কি হাসি। তাদের মধ্যেই একজন সামিহা, সঙ্গে ছিল তার দাদি। তিনি আমাদের জন্য প্রাণভরে দোয়া করলেন। ফুটপাতে সবার মুখে হাসি ফুটিয়ে আমরা রওনা দিলাম বস্তির উদ্দেশে। সেখানে যেতেই দুটি বাচ্চাকে দেখলাম নোংরা ছেঁড়া জামা পরে খেলছে। তাদের গায়ে জামা পরিয়ে দিতেই এক দৌড়ে সবাইকে ডাকতে গেল....‘ওই আয় ঈদের জামা দিবো’। এল অনেকে। এক এক করে জামা পরিয়ে দেওয়া হলো সবাইকে।

একটি ছোট্ট মেয়ে নাম তার রুনু। এল আবদার নিয়ে...‘আফা আফা, এই রংটা ভালো লাগে না, পাল্টাইয়া দেন।’ অতটুকু বাচ্চার এইটুকুন আবদার কি ফেলা যায়? তাই পাল্টে তার পছন্দের রং হলুদ জামা পরিয়ে দেওয়া হলো।

বাচ্চাদের খুশি দেখে তাদের মা–বাবারাও আনন্দিত। সেখানে সব বাচ্চাকে জামা পরিয়ে রেললাইন ধরে হাঁটতে থাকলাম সবাই। সবাই ক্লান্ত। কিন্তু সবার মনে বিরাজ করছে অদ্ভুত প্রশান্তি।